সফলতার পথে এলন মাস্কের ৫টি কার্যকর অভ্যাস

বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সফল উদ্যোক্তা এলন মাস্ক তার কঠোর পরিশ্রম, নেতৃত্বগুণ এবং অনন্য জীবনধারার জন্য পরিচিত। Tesla ও X-এর সিইও মাস্ক প্রায় ১০০-১২০ ঘণ্টা কাজ করেন সপ্তাহে, যা সত্যিই বিস্ময়কর। আমাদের সবারই ২৪ ঘণ্টা সময় রয়েছে, কিন্তু মাস্ক কীভাবে এতটা কার্যকরীভাবে সময় ব্যবহার করেন? তার প্রতিদিনের রুটিন, বিভিন্ন সাক্ষাৎকার এবং পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, তার সফলতার পেছনে থাকা ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে জানানো হলো—
১. পর্যাপ্ত কিন্তু সংক্ষিপ্ত ঘুম
এলন মাস্কের মতে, সাত ঘণ্টা ঘুম সুপারিশকৃত হলেও, তার জন্য ছয় ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। প্রতিদিন তিনি ঠিক ৬ ঘণ্টা ঘুমান এবং সকাল ৭টায় উঠে পড়েন। একবার Reddit-এ প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, “যদি আমি পর্যাপ্ত ঘুম না পাই, তাহলে আমি খুবই বিরক্তিকর হয়ে যাই, আর আমার মানসিক কার্যক্ষমতা কমে যায়।”
২. চরম কর্মনিষ্ঠা ও মনোযোগ
মাস্ক একাধিক কোম্পানি পরিচালনা করলেও তিনি কাজের প্রতি অবিচল থাকেন। তিনি Pomodoro প্রযুক্তির একটি উন্নত সংস্করণ ব্যবহার করেন, যেখানে প্রতিটি কাজকে ছোট ছোট সময়ের মধ্যে ভাগ করে নেন। প্রতিদিনের কাজকে ৫ মিনিটের সময়সীমায় ভাগ করার মাধ্যমে তিনি সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করেন। এভাবে তিনি মনোযোগহীনতা দূর করে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ফোকাস করতে পারেন।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম
যদিও এলন মাস্ক নিজেই বলেছেন যে তিনি ব্যায়াম করতে খুব একটা পছন্দ করেন না, তবুও সুস্থ থাকার জন্য তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। তিনি ট্রেডমিলে দৌড়ান এবং মাঝে মাঝে মার্শাল আর্ট, বিশেষ করে কারাতে ও ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিতসু অনুশীলন করেন। সুস্থ দেহ-মনই কর্মদক্ষতার মূল চাবিকাঠি।
৪. পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা আগের রাতেই
মাস্ক প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগের রাতেই পরিকল্পনা করে রাখেন। এতে তিনি প্রতিদিন আরও কার্যকরীভাবে কাজ করতে পারেন। তিনি ঘুমের আগে ভারী খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলেন, যা তার ঘুমের মান উন্নত করে এবং পরদিন আরও সতেজ থাকতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত বই পড়া
এলন মাস্ক সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য বই পড়েন। তিনি রাতের বেলা ঘুমানোর আগে বই পড়েন, যা তাকে শিথিল হতে ও নতুন ধারণা পেতে সাহায্য করে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন বইপাগল, একসময় দিনে ১০ ঘণ্টারও বেশি বই পড়তেন। তার মতে, বই পড়া তার উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এই পাঁচটি অভ্যাস এলন মাস্ককে বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যক্তি হতে সাহায্য করেছে। যারা নিজেদের কর্মজীবনে আরও সফল হতে চান, তারা তার এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।