সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ১১ ১৪৩১, ২৫ শা'বান ১৪৪৬

ব্রেকিং

সরকার লক্ষ্য থেকে ‘কিছুটা হলেও বিচ্যুত হচ্ছে’: তারেক রহমান সব কিছু মিলিয়ে যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই তফসিল: নির্বাচন কমিশনার অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি ডেটলাইন নিয়ে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন : সিইসি সারা দেশে অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও ৫৮৫ জন গ্রেপ্তার বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে তারা কেমন সম্পর্ক চায়: জয়শঙ্কর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা এস আলমের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য শুরু ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা চার ডিআইজি অবসরে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর কোনো দলের তল্পিবাহক হবেন না, পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে পরিপত্র জারি অনুতাপ ও বিবেকবোধ থেকে ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়: ছাত্রদল ছাত্রদল ছাত্রলীগের পথ অনুসরণ করছে: শিবির এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ২ মার্চ, সর্বোচ্চ ফি ২৭৮৫ টাকা বাসায় ঢুকে পায়ে গুলি, ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ আজাদ হাসপাতালে নেতানিয়াহু চুক্তি নস্যাৎ করতে ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন: হামাস

বিনোদন

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুলের প্রয়াণ

 প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুলের প্রয়াণ

দীর্ঘ রোগভোগের পর চলে গেলেন ‘আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই’ গানের ভারতীয় শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতুল মারা যান বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’; তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। এর মধ্যে প্রতুল মুখার্জির শরীরে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তার হার্ট অ্যাটাকও হয় এবং তিনি আক্রান্ত হন নিউমোনিয়াতেও।

চেতনা হারালে গত মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালের আইটিইউতে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি গানে গানে মানুষের কথা বলে যাওয়া এই শিল্পীকে।

গেল বছর থেকেই অসুস্থ ছিলেন প্রতুল মুর্খাজি। মাসখানেক আগেও তার হাসপাতালবাসের খবর এসেছিল।

এই শিল্পীর বহু গানের মধ্যে ‘চার্লি চ্যাপলিন’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও আলু বেচো’ শিরোনামের গানদুটো অন্যতম। ২০১৬ সালে সিঙ্গুরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যখন ১৪ হাজার কৃষককে তাদের জমি ফেরত দেওয়া হয়, তখন প্রতুলের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি।

এছাড়া বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুলের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সাালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এই গানেই প্রতুল বেশি মিশে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝে।

এক সময়ের নকশাল আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক, ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড লং রেঞ্জ প্ল্যানিং বিভাগের সাবেক প্রধান ব‌্যবস্থাপক প্রতুল গানকেই করেছেন সমাজ বদলের হাতিয়ার।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৪২ সালে বাংলাদেশের বরিশালে। তার বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। সাতচল্লিশের দেশভাগের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রতুল চলে যান ওপার বাংলায়; তখন তাদের বসবাস শুরু হয় চুঁচুড়ায়।

১৯৫২ সালে তার স্কুলে যাওয়া শুরু। স্কুলের মঞ্চেই অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি। ‘গায়ক অভিনেতা’ হিসেবে একটি স্কুলের নাটকের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন প্রতুল।

১৯৬২ সালে তিনি প্রথম গান লেখেন। এর আগে বিভিন্ন কবির কবিতায় সুর দিতেন তিনি। তারপর এক দশক ধরে বেশ কয়েকটি গণসংগীত রচনা করেছেন। নকশালদের মধ্যে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘সেজদা কমরেড’ নামে।

প্রতুলের প্রথম একক অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে।

‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন প্রতুল। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’, ‘যেতে হবে’, ‘ওঠো হে’, ‘কুট্টুস কাট্টুস’, ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘তোমাকে দেখেছিলাম’, ‘স্বপনপুরে’, ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’, ‘হযবরল’, ‘দুই কানুর উপাখ্যান’, ‘আঁধার নামে’।