সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৭ ১৪৩২, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

জাতিসংঘ প্রতিবেদন থেকে: ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে পলকের দাবি ছিল মিথ্যা ৪২ দিন পর ২১ বিলিয়নে রিজার্ভ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার : চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ‘চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলব’ বলে হুমকি দিয়েছেন ইনু, অভিযোগ পুলিশ সদস্যের দলের নিবন্ধন পেতে চায় ‘সংস্কারবাদী পার্টি’, ’জনস্বার্থে বাংলাদেশ’, ’বেকার সমাজ’ ৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে ঈদে ‘ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশ’, কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ইউনূসের মসজিদের ইমামও যেন এমপি হতে পারেন, সে ব্যবস্থা চায় এনসিপি নসরুল হামিদের ৩৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ ও ৭০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ খাটে দম্পতির লাশ, চিরকুটে পাশাপাশি কবর দেওয়ার অনুরোধ ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, লং মার্চের হুঁশিয়ারি গাজায় ইসরায়েলি অবরোধে চরম মানবিক বিপর্যয়, ভয়াবহ খাদ্য ও ওষুধ সংকট ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আবারও হাজারো মানুষের বিক্ষোভ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি, সর্বদলীয় ঐকমত্য গঠনে তৎপরতা

শিক্ষা

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

 প্রকাশিত: ২১:৪০, ২০ এপ্রিল ২০২৫

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে তারা আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (IEM) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল।

শিক্ষার্থী উপল বলেন, “ঈদের পরে আমরা আলোচনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। প্রশাসনকে বলেছিলাম, হল খুলে দিন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে আলোচনায় বসব। আমরা এক দফায় যেতে চাইনি। পাঁচ দফা বাস্তবায়ন বা নিশ্চয়তা পেলে পদত্যাগের দাবিও তুলতাম না। কিন্তু পরিস্থিতি এমন করে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা বাধ্য হয়েছি এক দফায় আসতে।”

শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, “আমরা কোনো অনৈতিক কাজ করিনি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য আজ বহিষ্কৃত হচ্ছি। একটি বিল্ডিংয়ে তালা লাগানো, মোমবাতি জ্বালানো- এসব কারণে বহিষ্কার? আমাদের ওপর গুলি চলবে, বন্ধুরা হাসপাতালে যাবে, আর প্রশাসন নিশ্চুপ থাকবে এটা আমরা মেনে নিতে পারিনি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হয়তো আমাদের অবস্থান ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি, সেই দায় আমাদের। দরকার হলে ক্ষমা চাইব। কিন্তু ট্রমা থেকে বলছি, আমরা ইনসাফের পক্ষে ছিলাম, আছি। জুলাইয়ের আন্দোলনে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, এখনো আছি।”

সৈকত আরও বলেন, “আমাদের এই দীর্ঘ আন্দোলনে প্রশাসন কোনো ইন্টেরিম আলোচনা করেনি। বরং মামলা, হামলা, বহিষ্কার চালিয়ে গেছে। এই উপাচার্যকে আজও অপসারণ করা হয়নি। আমরা ক্লান্ত, হতাশ, ভীষণ রকম ব্যর্থ বোধ করছি।”

“আমরা ইন্টেরিম সরকারের প্রতি ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে আমরা আমরণ অনশনে বসব। আমাদের আর কিছু নেই- শুধু জীবনটা আছে। প্রয়োজনে সেটাই দিয়ে দেব।”