কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে তারা আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (IEM) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল।
শিক্ষার্থী উপল বলেন, “ঈদের পরে আমরা আলোচনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। প্রশাসনকে বলেছিলাম, হল খুলে দিন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে আলোচনায় বসব। আমরা এক দফায় যেতে চাইনি। পাঁচ দফা বাস্তবায়ন বা নিশ্চয়তা পেলে পদত্যাগের দাবিও তুলতাম না। কিন্তু পরিস্থিতি এমন করে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা বাধ্য হয়েছি এক দফায় আসতে।”
শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, “আমরা কোনো অনৈতিক কাজ করিনি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য আজ বহিষ্কৃত হচ্ছি। একটি বিল্ডিংয়ে তালা লাগানো, মোমবাতি জ্বালানো- এসব কারণে বহিষ্কার? আমাদের ওপর গুলি চলবে, বন্ধুরা হাসপাতালে যাবে, আর প্রশাসন নিশ্চুপ থাকবে এটা আমরা মেনে নিতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হয়তো আমাদের অবস্থান ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি, সেই দায় আমাদের। দরকার হলে ক্ষমা চাইব। কিন্তু ট্রমা থেকে বলছি, আমরা ইনসাফের পক্ষে ছিলাম, আছি। জুলাইয়ের আন্দোলনে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, এখনো আছি।”
সৈকত আরও বলেন, “আমাদের এই দীর্ঘ আন্দোলনে প্রশাসন কোনো ইন্টেরিম আলোচনা করেনি। বরং মামলা, হামলা, বহিষ্কার চালিয়ে গেছে। এই উপাচার্যকে আজও অপসারণ করা হয়নি। আমরা ক্লান্ত, হতাশ, ভীষণ রকম ব্যর্থ বোধ করছি।”
“আমরা ইন্টেরিম সরকারের প্রতি ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে আমরা আমরণ অনশনে বসব। আমাদের আর কিছু নেই- শুধু জীবনটা আছে। প্রয়োজনে সেটাই দিয়ে দেব।”