ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘গ’ ইউনিট বা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের উপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীর রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জিহান আল ফুয়াদ নিজেই। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মো. শিশির মনির।
আদেশে বিষয়টি তুলে ধরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, স্থগিতাদেশ বলবৎ অবস্থায় এই দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্নে পর পর চারটি প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ সেট প্রশ্নপত্রের অ্যাকাউন্টিং অংশে দেখা যায়, ১২টি প্রশ্নের মধ্যে চারটি প্রশ্নের হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। প্রশ্নপত্রের ২৫ ও ৩৩, ২৬ ও ৩৪, ২৭ ও ৩৫ এবং ২৮ ও ৩৬ নম্বরে প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
তখন এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেছিলেন, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। তবে এখানে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা বিষয়টি ফাইন্ড আউট করেছি। যেসব প্রশ্নপত্রে এমন হয়েছে, সেগুলো একটি প্যাটার্ন ব্যবহার করে চিহ্নিত করা যাবে এবং সেই উত্তরপত্র সেভাবেই দেখা হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।”
কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের এমন আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারেননি সে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া জিহান আল ফুয়াদ। তিনি পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে উপাচার্যের কাছে চিঠি দেন। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ১৬ মার্চ হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।