‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রত্যাখ্যান তিতুমীর ঐক্যের

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে একত্রিত করে গঠিত হতে যাওয়া ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ (ডিসিইউ) নামক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজের এক সভায় ডিসিইউ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা তাদের স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অবিচল থাকবে।
সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক বেল্লাল হাসান জানান, ইউজিসির সভার জন্য চারজন শিক্ষার্থীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের মধ্যে তিনজন—আমিনুল ইসলাম, রনি ইসলাম ও আলী আহমেদ সভায় যাননি। আরেক প্রতিনিধি রেজায়ে রাব্বি জায়েদ সভায় অংশ নিলেও, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রস্তাব তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভা ত্যাগ করেন।
তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আমরা সাতটি কলেজকে একত্রিত করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের একমাত্র দাবি তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা।”
গত শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে ১৫ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জানানো হয়, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। জানুয়ারিতে তারা কলেজের ফটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার’ টাঙিয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন।
গত ১৯ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলেও এখনও সেই কমিটি কোনো প্রতিবেদন দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি অনশনরত ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলক্রসিং ও সড়ক আটকে অবস্থান নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অতঃপর ১২ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতার’ অভিযোগ করে করে ‘এ বিষয়ে নালিশ দিতে’ ও ‘দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে আলোচনা করতে’ প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাবি করেন।