শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তাঁরা অবিলম্বে নিয়োগের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ এবং তদন্তে প্রমাণ সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আজ রবিবার সকাল ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০২৪ সালের নিয়োগে তাজবিউল ইসলাম নামক প্রভাষককে নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করেননি। বিভাগের শিক্ষার্থী আলীমুজ্জামান শাফিন বলেন, "যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ প্রয়োজন, সেখানে তাজবিউল ইসলাম মাত্র ৩.২০ সিজিপিএ নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ ওই সময়ে আমাদের বিভাগে এর চেয়ে ভালো সিজিপি ধারী প্রার্থী ছিল।"
এছাড়া, শিক্ষার্থীরা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু এখনো কেনো সে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। তারা এই রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশের জন্য দাবি জানিয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে যদি কোনো প্রমাণিত দুর্নীতি পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন।
পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক বলেন “যদি আমরা আজ অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত তাজবিউলকে বিভাগে প্রবেশের সুযোগ দেই, তাহলে ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক তাজবিউল তৈরি হবে। এ ধরনের তাজবিউলরা কী ধরনের শিক্ষা প্রদান করবে এবং কেমন শিক্ষার্থী তৈরি করবে, তা আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই।”
শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিবাদে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান নিয়ে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিল "তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ কর, নইলে ডিপার্টমেন্ট বন্ধ কর", "যোগ্যরা শিক্ষক হবে, দুর্নীতিবাজরা পিছু হটবে", "আবেদন করার যোগ্যতা নাই, নিয়োগ পায় কীভাবে", "শিক্ষক হবে নৈতিক, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নয়" সহ নানা স্লোগান।
এদিকে, শাবিপ্রবির প্রক্টর মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "এ ঘটনা নিয়ে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা তাদের রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। আগামী সিন্ডিকেট মিটিং-এ এটি উপস্থাপন করা হবে এবং তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"