ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষের ঘটনা
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করার সময় ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজ রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুরে এই ঘটনা ঘটে, যা পরবর্তীতে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার পরিস্থিতিতে পরিণত হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান জানান, ‘রবিবার সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া নিয়ে ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের মধ্যে প্রথমে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এরপর কথাকাটাকাটি একপর্যায়ে ঘটনা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যার ফলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।’
ওসি শফিকুল ইসলাম খান আরও জানান, ‘খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শ্রীঘ্রই শান্ত করা হয়। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর পুলিশ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান খান জানিয়েছেন, "এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করতে গিয়ে দুই দলের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার আকার ধারণ করে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।"
এদিকে, ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদ এই ঘটনার সাথে শিবিরের কোনো কর্মী জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, "এটি একটি অভ্যন্তরীণ হাতাহাতি যা ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে ঘটেছে।"
তবে ছাত্রদল বা শিবিরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে।
অবশ্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ সিয়াম বলেন, “নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু হঠাৎ করে যারা রেটিনা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন তাদের কয়েকজন নতুন শিক্ষার্থীদের মব শুরু করেন। এর প্রতিবাদ সাধারণ শিক্ষার্থীরা করলে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আধ ঘণ্টার মত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তারা রেটিনা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন; আর রেটিনা কারা চালায় তা আপনারা বুঝে নেন।”