আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যেভাবে হবে
আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে, আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে জুন মাসের শেষের দিকে।
সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে দেশের বড় দুই পাবলিক পরীক্ষা হবে বলে শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলতি বছরের মত আগামী বছরের (২০২৫) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এ পরীক্ষা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। সেজন্য আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসির নির্বাচনি বা টেস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোকে।
এসএসসি পরীক্ষার মাস দুয়েক পর জুনের শেষ দিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, “২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে ও পূর্ণ সময়ে।”
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশারও একই তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাভাবিক নিয়মে এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয় বা পত্রের পরীক্ষা হয় তিন ঘণ্টা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নম্বর বিভাজন অনুযায়ী, প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
বাংলা, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান বা ইসলামের ইতিহাসের মত তত্ত্বীয় বিষয়গুলোতে প্রতি পত্রে ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৭০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তবে ইংরেজির প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষা হবে।
আর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বা ভূগোলের মত ব্যবহারিক বিষয়গুলোর প্রতি পত্রে ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ৭৫ নম্বরের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। এ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে।
মোট তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ৩০ মিনিট বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। আর বাকি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা।