মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আশ্বিন ১ ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ: ফখরুল আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন: তথ্য চায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল হোটেলকর্মী সিয়াম হত্যা : কারাগারে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী চার শর্তে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ক্রেতারা পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন ঘুরে দাঁড়ানোর পালা: শ্রম সচিব যাত্রী খরা: ঢাকা-কলকাতা রুটে নভোএয়ারের ফ্লাইট বন্ধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৮ জনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ আরেক হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পেলেন ট্রাম্প বৃষ্টি কমে বাড়বে তাপমাত্রা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারীত্ব জোরদার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতে পালানোর সময় সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক যশোরে পানিবন্দি ২৮ গ্রাম, ভেসে গেছে ঘের-ফসল

শিক্ষা

এইচএসসির বাকি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কয়েকশ শিক্ষার্থী

 প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২০ আগস্ট ২০২৪

এইচএসসির বাকি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কয়েকশ শিক্ষার্থী

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করছেন কয়েকশ শিক্ষার্থী।

তারা বলছেন, কয়েকটি পরীক্ষা হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতির কারণে তারা আটকে আছেন। এ অবস্থায় তারা আর বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে চান না। তাদের দাবি, যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।

এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের অনেকে পরনে কলেজের ইউনিফর্ম দেখা যায়।

দুপুর ২ টার দিকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে দিতে মুক্তাঙ্গণ প্রান্তের গেইট দিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তারা ছয় নম্বর ভবনের নিচে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন– ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, আমাদের দাবি মানতে হবে।’

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এরইমধ্যে খবর আসে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে এক সভায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও তা আরো দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়।

ঠিক হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ, আগে যে বিষয়ে আটটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত, এখন সেই একই বিষয়ে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষার জন্য আগের মতই পূর্ণ সময় থাকবে।

তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অটল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে তাদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। অন্যরা তখনও বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব গাজী মো. আবদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবি নিয়ে সচিবালয়ে এসেছেন। এখন শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় নেই। সেজন্য তাদের প্রতিনিধিরা সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলছেন।”

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই রাতেই সারা দেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।

পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ অগাস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ অগাস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়।

বার বার স্থগিতের পর ১১ অগাস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর সহিংসতায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পুড়ে গেলে পরীক্ষা ফের স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেই পরিকল্পনাতেও পরিবর্তন আসছে।