সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৫ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: আমির খসরু এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাসী আয় ২২৭ কোটি ডলার দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস ও পিওর পেছনে দুদক মামলার ‘হয়রানি’: বিএনপিকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ চান আমীর খসরু বটগাছ প্রতীক চায় খেলাফত আন্দোলনের জাফর গ্রুপ আইন উপদেষ্টার বাসায় পড়ে থাকা ড্রোনে ধ্বংসাত্মক ডিভাইস পাওয়া যায়নি রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ঢাকায় গ্রেপ্তার আগামী নির্বাচনে অনেক সারপ্রাইজ দেখতে পাব: সামান্তা শারমিন কবি দাউদ হায়দারের নির্বাসিত জীবনের চিরমুক্তি পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার সেই শহীদকন্যার আত্মহত্যা ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবক খুন দুই পুত্রবধূসহ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া অন্তিম শয়ানে পোপ ফ্রান্সিস প্রতিরক্ষা অভিযানের খবর সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ভারতের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত

অর্থনীতি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিলামে উঠছে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি

 প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিলামে উঠছে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভোজ্যতেল কারখানাসহ মোট ১,১৪৯ শতাংশ জমি নিলামে তুলেছে। আজ রোববার রাজধানী ও চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এ নিলাম আহ্বান করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস আলম কোল্ড রোলড স্টিল লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন, এবং এস আলম ভেজিটেবল অয়েল-এর বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা (২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ)। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল, ইসলামী ব্যাংক প্রায় ১১ একর জমির ওপর এস আলম গ্রুপের চিনিকল নিলামে তুলেছিল ৯ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার ঋণ আদায়ের জন্য।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর গ্রুপটি নিজের ও ঘনিষ্ঠদের নামে বিপুল পরিমাণ ঋণ উত্তোলন করে, যার পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। তবে সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায় গ্রুপটি, এবং এখন একের পর এক ঋণ খেলাপি হয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নিলামে যাচ্ছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছে। এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মোট হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকার বেশি বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

বর্তমানে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং চলছে বিশেষ নিরীক্ষা। নিরীক্ষার পরই নির্ধারিত হবে এসব ব্যাংকের ভবিষ্যৎ।