মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৯ ১৪৩২, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

৪৪তম বিসিএসের ২২২ জন পরীক্ষার্থীর ভাইভা স্থগিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়েনি: ডিএমপি দ্বিতীয় ইনিংসে চাপে বাংলাদেশ একই ব্যক্তি টানা দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার পক্ষে বিএনপি সায়েন্স ল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ তিন অঞ্চলে ৬০ কি. মি বেগে ঝড় হতে পারে এবারের বর্ষায়ও বন্যার কবলে পড়ার শঙ্কা ফেনীবাসীর ‘শখে’ জাল ফেলে উঠল ৩০ কেজির বাঘাইড়, বিক্রি ৩৫ হাজারে সাত দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন রাজস্ব আদায়ে ৯ মাসে ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা এক মাস না যেতেই ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়ল আর্থনা সম্মেলনে যোগ দিতে দোহায় প্রধান উপদেষ্টা মেজর সিনহা হত্যা: ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তিতে ‘অগ্রাধিকার’ স্ট্রোক এবং হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় পোপের: ভ্যাটিকান রাজস্ব আদায়ে ৯ মাসে ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লকড’ অর্থায়ন: ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা আর্থিক সংকট ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে শহীদ নাজমুলের স্ত্রীর

অর্থনীতি

এক মাস না যেতেই ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়ল

 প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২২ এপ্রিল ২০২৫

এক মাস না যেতেই ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়ল

সরকারের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোর তরফে অর্থের যোগান বেশি থাকায় মার্চে ট্রেজারি বিলের সুদহার কমেছিল। তবে পরের মাসেই তা আবার বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে ট্রেজারি বিলের সুদের হার বেড়েছে ১০১ থেকে ১২৩ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদের হার নির্ধারণ করা হয় ব্যাংকগুলোর কাছে কী পরিমাণে তারল্য রয়েছে সেটির ওপর ভিত্তি করে। সরকারের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য যোগান বেশি থাকলে সুদের হার কমে। আর চাহিদার তুলনায় তারল্য যোগান কম থাকলে সুদের হার বাড়ে।

এখন ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে থাকায় এবং সরকারের বেশি ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হওয়ায় সুদহার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে, বলছেন ব্যাংকাররা।

সবশেষ সোমবারের নিলামে ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মার্চে যা ছিল ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সুদহার কমেছে ১২৩ বেসিস পয়েন্ট।

এদিন ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদহার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এক মাস আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সে হিসাবে সুদহার কমেছে ১০১ বেসিস পয়েন্ট।

এপ্রিলে এসে ৩৬৪ দিনের টেজারি বিলের সুদের হার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সুদহার কমেছে ১১৫ বেসিস পয়েন্ট।

ট্রেজারি বিল এক ধরনের স্বল্পমেয়াদি আর্থিক ঋণপত্র, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকার বিক্রি করে থাকে। মেয়াদ হয় ৯১ থেকে ৩৬৪ দিন পর্যন্ত।

নিরাপদ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবেও ট্রেজারি বিল পরিচিত। কারণ এর ওপর নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।

আর ট্রেজারি বন্ড হল দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক ঋণপত্র। এটির বিপরীতের বিনিয়োগ থেকে সরকার অর্থ নিয়ে থাকে। এটির মেয়াদ হয় ২ থেকে ২০ বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার কমার কথা বলার মধ্যে এখন তা কিছুটা বেড়ে গেল।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ খাতে সুদ কমার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন ব্যাংকগুলো এখাতে বিনিয়োগ করে উচ্চ হারে মুনাফা পাবে না।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট থাকলেও ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে সরকারকে ঋণ দিচ্ছে। নিয়ম মোতাবেক নিলামে অংশ নিয়ে সরকারকে টাকা দেয়। সরকারের যেহেতু অর্থের প্রয়োজন ব্যাংকগুলোও উচ্চ সুদে এ খাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, আগের দুই মাসের তুলনায় ব্যাংকগুলোর কাছে তারল্য কম থাকার কারণে ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়ছে। সামনে ট্রেজারি বন্ডেরও সুদহার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮ দিনের জন্য রেপো দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কারণেও ট্রেজারি বিলের সুদের হার বাড়ছে বলে মনে করেন এই ব্যাংকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সামনে সরকারের ব্যাংক ঋণ দরকার। সে কারণে ব্যাংকগুলো নিলামে উচ্চ সুদ চাচ্ছে। মূলত এ কারণেই ট্রেজারি বিলের সুদের হার কমে তা আবার বাড়া শুরু করেছে।

পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী বলেন, ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধির হার কম। এরমধ্যেও ঋণ দিতে হচ্ছে। আশানুরূপ আমানত না আসার কারণে এক ধরনের তারল্য সংকটে রয়েছে।

টানা চার মাস পর চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি শেষে ব্যাংক খাতে আমানত প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে থাকলেও এক মাস পর তা আবার নিচে নেমে এসেছে।

ফেব্রুয়ারি শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।

মোহাম্মদ আলী বলেন, ৫ অগাস্টের পর সরকারি প্রকল্পে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। সেটা কেটে প্রকল্পের কাজ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঋণের চাহিদাও আগের চাইতে বাড়ছে। এমন অবস্থায় গত দুই মাসে বিল-বন্ডের সুদের হার কম থাকার বিপরীতে সেটা আবার বাড়তে শুরু করেছে।