যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চীনের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করলে পাল্টা ব্যবস্থা: চীন

চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিলে এবং চীনের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি করলে সংশ্লিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। ২১ এপ্রিল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আত্মসমর্পণ কখনো শান্তি আনে না এবং আপস করলে সম্মান পাওয়া যায় না। কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চীনের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়, তা মেনে নেওয়া হবে না।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আত্মসমর্পণ কখনো শান্তি আনতে পারে না, আপস করলে সম্মানও পাওয়া যায় না। যদি কেউ চীনের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে, চীন তা মেনে নেবে না এবং উপযুক্ত পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু দেশকে চাপ দিচ্ছে যাতে তারা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে বাধা দেয়, এর বিনিময়ে শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে এই উদ্যোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ একাধিক দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বা চলমান রয়েছে।
জাপান ইতোমধ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু এই সপ্তাহে আলোচনা শুরু করবেন। ভারতও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। যদি চুক্তি না হয়, তাহলে ভারতকে ২৬ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে আপস করা তাদের স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ বেজলাইন শুল্ক আরোপ করা হবে, যা জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নতুন শুল্ক কার্যকর হলে চীনা কিছু পণ্যে মোট শুল্ক ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে এবং জানিয়েছে, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।