নেপালে আরও ২৭৩ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি, কৃষক ও অর্থনীতিতে আশার আলো

বাংলাবান্ধা বন্দর
ভারত সরকারের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্তের পরও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা চারদেশীয় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি। স্থলবন্দরটির মাধ্যমে স্বাভাবিক গতিতেই বাণিজ্য চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নেপালে ২৭৩ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন জানান, নতুন চালানসহ এ পর্যন্ত নেপালে মোট ৪,৪৯৪ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে। গত ১০ এপ্রিলেই ১৪৭ মেট্রিক টন আলু নেপালে পাঠানো হয়। আলুগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ এবং ক্রসেস এগ্রোসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা আলু এসব রপ্তানিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
উজ্জ্বল হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ইত্যাদি রপ্তানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড়সহ বিভিন্ন পণ্য।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠানোর জন্য নিজ ভূখণ্ড ব্যবহারের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। যদিও এতে সামগ্রিকভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে স্বল্প ব্যয়ে বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হয়, বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।