বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৩ ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি

রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

 প্রকাশিত: ২২:০৩, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

রোববার (১৩ এপ্রিল) রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনার জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, “সিআইডির তদন্ত যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তখনই একটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলবাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ যদি জড়িত থাকে, তাদের নাম যেন অভিযোগপত্রে না দেওয়া হয়। আমরা সিআইডি থেকে বিষয়টি জেনেছি।”

তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে ২ বিলিয়ন ডলার লুটের পরিকল্পনা ছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত ৮১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) চুরি হয়। এর মধ্যে এখনো ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার হয়নি। তিনি বলেন, “২ বিলিয়ন ডলার যদি চলে যেত, তাহলে আজ হয়তো বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়ত।”

সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আরও বলেন, “সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের রিপোর্টে যাদের নাম রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটি আমরা জানতে চেয়েছি এবং পরামর্শ দিয়েছি।”

তিনি জানান, বাংলাদেশ অংশে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে দায়ীদের নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা ফরাসউদ্দিন কমিটির রিপোর্টে অনেকের নাম পাবেন। তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান সঠিক সময়ে তথ্য না দিয়ে কয়েক সপ্তাহ দেরি করেছিলেন, যা বিভিন্ন রিপোর্ট ও পত্রিকায় এসেছে।”

তিনি জানান, এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের ল ফার্মের মতামত নেওয়া হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, সুইফট কোড জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। ওই অর্থ ফিলিপিন্সের তিনটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। ফিলিপিন্স সরকার মাত্র ১.৫ কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দিয়েছে, বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনও ফেরত আসেনি।