বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৪ ১৪৩২, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার ‘রেল ব্লকেড’ কর্মসূচি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যাসের দামে ভেদাভেদ: ‘পিছিয়ে পড়বেন’ নতুন উদ্যোক্তারা শিল্পে মিলবে গ্যাস সংযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির অসন্তোষ এখন আগামী রোজার আগেই নির্বাচন চান জামায়াত আমির যে যাই বলুক, নির্বাচন জুনের পরে যাবে না: আইন উপদেষ্টা হিজাব পরা নারীদের চুলের যত্ন খুবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার, প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ৯৭ জন হাফেজ হওয়ার আগেই ১৩ বছর বয়সে শহীদ হলো ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ

অর্থনীতি

সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দিল সরকার

 প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দিল সরকার

সরকার দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ ও সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি কেজির মূল্য পড়বে ৫০ টাকা ৮১ পয়সা এবং মোট ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

৮ এপ্রিল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

চাল আমদানির জন্য খাদ্য অধিদপ্তর ১২ মার্চ আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। এতে ১২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র সংগ্রহ করলেও ৫টি প্রতিষ্ঠান জমা দেয়। সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি টন চালের দাম ৪১৬.৪৪ ডলার প্রস্তাব করে, যা উৎস দেশগুলোর গড় দর (৪৪৪.৯১ ডলার) থেকে ২৮.৪৭ ডলার কম। প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনা করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রস্তাবটি গ্রহণের সুপারিশ করে।

মোট ব্যয় নির্ধারণে ২ কোটি ৮ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৭ মার্চ প্রকাশিত প্রতি ডলার ১২২ টাকা বিনিময় হারে হিসাব করে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। চাল চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে ৬০:৪০ অনুপাতে সরবরাহ করা হবে CIF-LO শর্তে (শুল্ক ও ভ্যাট ব্যতীত)।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে ৪.৫ লাখ টন আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে এবং জিটুজি পদ্ধতিতে মিয়ানমার (১ লাখ টন), পাকিস্তান (৫০ হাজার টন), ও ভিয়েতনাম (১ লাখ টন) থেকে চাল আনা হচ্ছে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩,৩৯,৮০৬ টন এবং জিটুজি ভিত্তিতে ২,২৯,৫০০ টন চাল বন্দরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে সরকারি গুদামে রাখা হয়েছে ২,৪৩,১৭৫ টন (উন্মুক্ত দরপত্র) এবং ২,০৭,৫৩৯ টন (জিটুজি)।

চাল আমদানির কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের খাদ্য মজুত শক্তিশালী করা হচ্ছে।