বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫, চৈত্র ১৯ ১৪৩১, ০৪ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি

অধ্যাপক ইউনূসের ঐতিহাসিক চীন সফরে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি

 আপডেট: ০২:১৫, ২৯ মার্চ ২০২৫

অধ্যাপক ইউনূসের ঐতিহাসিক চীন সফরে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় বাংলাদেশ ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এই বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে।

চীন সরকার বাংলাদেশকে মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তার মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর”। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, এই সফর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়ক হতে পারে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় অধ্যাপক ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিশ্চিত করেন যে, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বৈচিত্র্যময় করতে চাইলে বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য তিনি উৎসাহিত করবেন।

এদিকে, ২৮ মার্চ শুক্রবার অধ্যাপক ইউনূস এবং আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে ১০০টিরও বেশি চীনা কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে, বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তাঁরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।

এই সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।