১৫ দিনে রেমিটেন্স এল ১৬৬ কোটি ডলার

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
রেমিটেন্সের এ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২৬৪ কোটি ডলার।
আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে; ২৫৩ কোটি ডলার।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর হবে। ঈদের আগে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ে। তাই চলতি মাসের ১৫ দিনে রেমিটেন্স বেশি এসেছে।”
তিনি বলেন, “আগের বছর ঈদুল ফিতর হয় এপ্রিলের ১০ কিংবা ১১ তারিখে। সে মাসে রেমিটেন্স আসে ২০৪ কোটি ডলার। তার আগের মাসে কিন্তু ২০০ কোটি ডলার পেরোয়নি।”
এই ট্রেজারি প্রধান বলেন, “এটার কারণ হতে পারে সরকার পালাবদলের পর হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমেছে। তাদের দৌরাত্ম্য কমায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ঈদের আগে বেড়েছে রেমিটেন্সের প্রবাহ।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, টানা সাত মাস ২০০ কোটি ডলারের ওপর রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকে ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ দরেও রেমিটেন্স কেনে বলে সংবাদমাধ্যমে আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ঠিক করে দেয়।
এমন প্রেক্ষাপটে ওই সময় রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে সব ব্যাংককে একই দর দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
এছাড়া ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ব্যবধান (স্প্রেড) এক টাকা রাখার কথা বলেন তিনি।
এসব নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জরিমানা করার কথাও বলা হয়।