চালের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বৃদ্ধি, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

চালের দাম বৃদ্ধি
পবিত্র রমজানে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও চালের দাম বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, সরু মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৮০-৯০ টাকা, মাঝারি চাল ৭০-৭৬ টাকা, আর মোটা চাল ৫৮-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে তিন দফায় চালের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরু মিনিকেট চালের বস্তায় ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভালো মানের চাল ৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর দাম ৯০-৯২ টাকায় পৌঁছেছে। মোটা চালের ক্ষেত্রেও দাম কমেনি, ভালোমানের মোটা সেদ্ধ চাল ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। ক্রেতা হাফিজ উদ্দিন বলেন, "রমজানে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও চালের দাম বেশি থাকায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না।"
সয়াবিন তেলের সংকট কাটতে শুরু করেছে। খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বোতলজাত তেলের সরবরাহ কিছুটা কম। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে।
সবজির বাজার তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। লেবু, শসা, বেগুনের মতো চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম কমেছে। বেগুন আগে ৮০-১০০ টাকা কেজি থাকলেও এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি।
অন্য সবজির বাজারও তুলনামূলক স্থিতিশীল। তবে উচ্ছে ও ঢেঁড়সের দাম এখনো কিছুটা বেশি, যথাক্রমে ৬০-৮০ এবং ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর ব্যাপক দাম বাড়লেও এবার দেশি পেঁয়াজ ৩৬-৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছর ১১০-১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে, বর্তমানে ২০-২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
চিনি, খেজুর, ডালসহ অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। রোজার আগে বাজারে যে অস্থিরতা দেখা যেত, এবার তা হয়নি। মোটাদাগে, রমজানে অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চালের দাম ক্রেতাদের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।