মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২০ ১৪৩১, ০৪ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

৫,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার পতেঙ্গায় পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন উপদেষ্টা সি আর আবরার, পাচ্ছেন শিক্ষার দায়িত্ব হাসিনার ফাঁসির আগে নির্বাচন নিয়ে কথা নয়: সারজিস সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন করতে আইনের খসড়া হচ্ছে হাসিনার কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘মানসিক প্রশান্তি’ সারিয়ে তুলছে খালেদা জিয়াকে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ বাস চালককে লাঠি দিয়ে ‘পেটালেন ইউএনও’, প্রতিবাদে শ্রমিক বিক্ষোভ কেবল সরকার বদলে জনকল্যাণ সম্ভব নয়: নাহিদ তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ গুমের শিকার ৩৩০ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ: গুম সংক্রান্ত কম ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ শহীদ হতে মায়ের দোয়া চেয়েছিলেন খুবাইব মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান রাশিয়ায়, বসছেন পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করলেন ট্রাম্প

অর্থনীতি

খাতুনগঞ্জে ‘নেই’ সয়াবিন, যৌথ অভিযানে মেয়র ও ডিসির হুঁশিয়ারি

 প্রকাশিত: ১৪:৫০, ৩ মার্চ ২০২৫

খাতুনগঞ্জে ‘নেই’ সয়াবিন, যৌথ অভিযানে মেয়র ও ডিসির হুঁশিয়ারি

চট্টগ্রামের প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে তদারকিতে গিয়ে বোতলের ভোজ্যতেলের দেখা পাননি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

এই অভিজ্ঞতার পর মঙ্গলবার ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও আড়তদারদের বৈঠকে ডেকেছেন তারা।

ওই বৈঠকের পরও তেলের দাম না কমলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুজনই।

বাজার পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “সাধারণ মানুষ বেশ কয়েকদিন ধরেই কমপ্লেইন করছিল, ভোজ্য তেল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। এবং যেগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৮০ টাকা, ২০০ টাকার উপরে চলে গেছে। সে কারণে আজ আমরা এখানে এসেছি। এখানে দেখতে পাচ্ছি ভোজ্যতেল মোটেও পাওয়া যাচ্ছে না।

“দুয়েকটা জায়গায় যে তেলগুলো দেখেছি ল্যাব টেস্টের জন্য অলরেডি নিয়েছি। আমাদের সাথে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। পরীক্ষা করে দেখব, আদৌ এগুলো ভোজ্য তেলের মত কিনা।”

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি রমজান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত। যেহেতু রমজান মাস, আমরা চাই যে মানুষ যেন একটু কম দামে খেতে পারে। কারণ মানুষ তো আসলে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। নিত্যপণ্য যদি কম দামে খেতে না পারে এবং ইফতার সেহরিটা যদি ঠিকমত করতে না পারে…।

“সারা পৃথিবীতে আমরা দেখেছি বিশেষ করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে ভর্তুকি দেয়। কম মূল্যে তারা পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু বাংলাদেশ একমাত্র দেশ। যেখানে রোজা এলে কেন জানি ব্যবসায়ীরা আরো পাগল হয় যায়, রোজার মাসে যাতে পুরা বছরের ইনকাম করা যায়, কি করে আরো টাকা ইনকাম করা যায়…। সেজন্য আজকে আমরা দেখছি ভোজ্যতেল উধাও হয়ে গেছে। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মজুদ করে রেখেছে বিভিন্ন জায়গায়।”

গত প্রায় এক মাস ধরে চট্টগ্রামের বাজারে বোতলের সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। রোজা শুরুর আগের সপ্তাহ থেকে সেই সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।

ভোজ্য তেল সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কী করবেন– এমন প্রশ্নে শাহাদাত হোসেন বলেন, “আগামীকাল ব্যবসায়ীদের আমরা সার্কিট হাউজে ডেকেছি। তেলের ব্যবসায়ী যারা আছে, উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক সবার সাথে বসব।

“কেন তারা দাম বাড়াল? দাম কমানোর জন্য তাদের ডাকছি। অন্যথায় আমাদের হয়ত আইনগত ব্যবস্থায় যেতে হবে। অবশ্যই তারা যাতে অবিলম্বে বাজারজাত করে এবং দাম কমিয়ে আনে একটা অ্যাকশন প্ল্যান অবশ্যই নেব।

“আজকে সরেজমিন এসেছি, যাতে এ কথাগুলো তাদের বলতে পারি। আজকে কিন্তু কোথাও আমরা তেল পাইনি। তেলগুলো তারা সরিয়ে রেখেছে। কোথায় সরিয়ে রেখেছে তার তথ্য কিন্তু ইন্টেলিজেন্স আমাদের দিচ্ছে। এটা না যে, আমরা জানি না।”

মেয়র বলেন, “স্পষ্টভাবে তাদের বলতে চাই, এগুলো আমরা জানি কোথায় তেল তারা রেখেছে। এবং সেটা যদি প্র্যাকটিক্যালি গিয়ে ধরা পড়ে তাহলে কিন্তু আইন আইনের গতিতে চলবে।”

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “আমরা ভিজিল্যান্ট আছি। বাজারে ভোজ্য তেলের ব্যাপক সংকট আছে। সাথে চিনিরও সংকট আছে। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে টিকে গ্রুপ তেল বাজারজাত করছে না। আমরা টিকে গ্রুপের সাথে বসব।

“আগামীকাল ভোজ্যতেলের পাইকারি আড়তদারদের সাথে বসব। বসে কোনোভাবে উত্তরণের পথ বের করব। আগামীকাল বসবার পরেও যদি বাজারে তেল সহনীয় পর্যায়ে না আসে তাহলে আমরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা যাতে বাজারে তেল সংকট সৃষ্টি করতে না পারে এবং নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন ‘যৌথভাবে’ সক্রিয় আছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, “মহানগরী ও জেলাকে ২১টি সেন্টারে ভাগ করেছি। রোজার মাসে আমরা চারশ অভিযান করব। রোজার ভিতরে যাতে দ্রব্যসামগ্রী মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় থাকে সেজন্য আগামীকাল থেকে ৬টি স্পটে ৬৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, ১১৫ টাকা ডজন দরে ডিম ও চিনি বিক্রি হবে খোলা বাজারে।”