শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মাঘ ১৯ ১৪৩১, ০২ শা'বান ১৪৪৬

ব্রেকিং

বিশ্ব ইজতেমা: আখেরি মোনাজাত ‘সকাল সোয়া ৯টার মধ্যে’ বিশ্ব ইজতেমায় দুদিনে ৪ মুসল্লির মৃত্যু জুলাই অভ্যুত্থান এবারের বইমেলায় নতুন তাৎপর্য নিয়ে এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ সামিটে প্রধান উপদেষ্টা: তরুণরা পুরো বিশ্বকে পাল্টে দিতে পারে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ‘বিশেষভাবে বিবেচনা’ করা হচ্ছে: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বিচারবহির্ভূত হত্যা কেন, প্রশ্ন রিজভীর পুরস্কার গ্রহণ করলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তরা ফ্যাসিবাদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে : ডা. শফিকুর রহমান ইজতেমা এলাকায় রাত ১২টা থেকে গণপরিবহন বন্ধ সরকার নিজেরাও জানে না কী চায়: গয়েশ্বর এবার ফিলাডেলফিয়ায় শিশুসহ ৬ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

অর্থনীতি

ব্যবসায়ীরা চান দাম বাড়াতে, কৌশলী বিপণনে বাজারে কমছে সয়াবিন তেল

 প্রকাশিত: ১০:২৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ব্যবসায়ীরা চান দাম বাড়াতে, কৌশলী বিপণনে বাজারে কমছে সয়াবিন তেল

ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দর স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট ছাড়ের পাশাপাশি সরবরাহ সংকট কাটাতে দাম বাড়ানো হয়েছিল; তারপরও রমজানের আগে আরেক দফা সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়ে কৌশলী বিপণনের পথ ধরেছে উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারীরা।

খুচরা পর্যায়ে কমিশন কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাকিতে তেল দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে মিলার ও ডিলার পর্যায়ে। এর প্রভাবে পাড়ায় মহল্লার দোকানগুলোতে কমেছে বোতলজাত তেলের সরবরাহ।

তবে নিয়মিত সরকারি তদারকির আওতায় থাকা কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, কমলাপুর টিঅ্যান্ডটি কলোনি, মহাখালীর কাঁচাবাজারগুলোতে তেলের যথেষ্ট সরবরাহ দেখা গেছে।

আর তুলনামূলক কম তদারকিতে থাকা যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ও ধোলাইপাড়ের অনেক মুদি দোকানে মিলছে না রান্নার এ জরুরি উপকরণটি। যদিও এসব এলাকায় থাকা সুপারশপগুলোতে বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, রমজানের আগেই দাম বাড়াতে চান ব্যবাসয়ীরা, সেজন্য ডিলাররা বাকিতে তেল দেওয়া বন্ধ করেছেন।

রোজার আগে বা শুরুতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘটনা ভোক্তাদের কাছে নতুন নয়।

২০২৪ সালেও রোজা শুরু হওয়ার আগে এপ্রিল মাসে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দাবি ওঠে। তখন সরকার মূল্য সমন্বয় করে।

সে বছর ‍জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অক্টোবরে আমদানি পর্যায়ে ভোজ্য তেলের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করে সরকার।

বৈশ্বিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তখন সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল।

সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখনো দাম বাড়ানোর আগ দিয়ে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলের সয়াবিন তেল।

তখন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৭৫ টাকা। দুই লিটারের বোতলে তা ৩৮০ টাকা এবং ৫ লিটার ৮৫২ টাকা। খোলা সয়াবিনের খুচরা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫৭ টাকা।

তার আগে বোতলের সয়াবিনের দাম ১৬৭ টাকা এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।

লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব

মাসখানেকের মাথায় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। হিসাব করে ১১ টাকা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি-তর্ক চলছে।

সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিনের বৈঠক হয়। তবে সে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মতামত চেয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি।

ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনষ্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ মুস্তাফা হায়দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১১ সালে সরকার একটি নীতিমালা করে। সয়াবিন তেলের দাম সময়ে সময়ে বৈশ্বিক বাজার ও অভ্যন্তরীণ খরচের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা। এখন তা ১৫ দিন পর পর সমন্বয় করার কথা।”

বৈশ্বিক বাজারে তেলের দর, আমদানি খরচ, পরিবহন ও বিভিন্ন ধাপে সরকারের ভ্যাট যুক্ত করে সয়াবিন তেলের দর নির্ধারণ করা হয়।

ডলারসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ার যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা শুধু বলেছি সরকারের নীতিমালা মেনেই দর সমন্বয় করতে।”

তবে সরকার রোজায় পণ্যটির দাম বাড়াতে চাইছে না। সেজন্য রোজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভ্যাট ছাড় অব্যাহত রেখেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বর্তমান দরেই বিক্রি করতে হবে।”

দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রস্তাবের ওপর বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কোনো প্রতিবেদন দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনো তারা কোনো প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়নি।”

বাজারে কমছে সরবরাহ

পুষ্টি, ফ্রেশ, তীর, রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের বোতলের সয়াবিন তেলের সঙ্গে সেনা ও নৌ বাহিনীর মালিকানাধীন সংস্থার বোতলের তেলের সরবরাহ বেশি থাকে। এর বাইরেও কিছু অপ্রচলিত ব্র্যান্ড এলাকাভেদে সয়াবিন তেল বিক্রি করে।

২৮ জানুয়ারি মহাখালী, কারওয়ান বাজার ও যাত্রবাড়ী এলাকার ডিলার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বলে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বাজারে গুঞ্জন উঠেছে, রোজার আগেই রান্নার উপকরণটির দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। সেজন্য ডিলাররা মজুদ শুরু করেছেন।

তেমনি বাজারে তেলের সরবরাহ কমাতে ডিলারদের মত বাকি দেওয়া বন্ধ করেছেন মিলাররা।

আমদানিকারক থেকে উৎপাদনকারী, ডিলার ও খুচরা পর্যয়ের কোন ধাপে বিক্রয় মূল্য কত হবে তা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৭৫ টাকার প্রতি লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের ডিলার পর্যায়ে বিক্রয় মূল্য ১৭২ টাকা।

সেই তথ্য তুলে ধরে মহাখালী পুরাতন বাজারের তীর কোম্পানির ডিলার জাহাঙ্গীর জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার যে দাম দিছে, কোম্পানিও তার বাইরে না। এখন ডিলার কত টাকা পাবে তাও সরকার জানে। তেল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমার পাইকারদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’’

মহাখালী কাঁচাবাজারে ১৩টি মুদি দোকান তার কাছ থেকে তেল কেনে, সেই তথ্য দিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “কোনো দোকান তেল পায় নাই বলতে পারবে না।”

মহাখালীর এ ডিলার এমন দাবি করলেও সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন কাওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা।

চাহিদা অনুযায়ী না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের আব্দুর রব এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক একরামূল হক নাঈম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাসের শেষে আমরা ধীরে ধীরে তেল তুলি। প্রথম সপ্তহে তেল বিক্রি হয় বেশি। এখন দুই কার্টন চাইলে এক এক কার্টন দেন ডিলাররা। বলেন, সাপ্লাই কম।”

কারওয়ান বাজারের ফ্রেশ গ্রুপের সয়াবিন তেলের ডিলার মোহাম্মদ বিপ্লব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেল এক গাড়ি করে পাই। দিনেই শেষ হয়। বেশি চাচ্ছি, কিন্তু কোম্পানি দিচ্ছে না।”

চাহিদা অনুযায়ী সবাইকে তেল দেওয়া যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখন তো চাহিদা বাড়বে। আমার তো সবাইকে কিছু হলেও দিতে হয়। তাই যে চার বা পাঁচ কার্টন চাচ্ছে তাকে দুই কার্টন ‍দিচ্ছি। যাতে সবাই পায়। সমস্যা কি, এটুকু বিক্রি করে ফের কিনবে।”

এক কার্টনে এক লিটারের ২০টি, দুই লিটারের ৯টি ও ৫ লিটারের চারটি বোতল থাকে।

কারওয়ান বাজারে তীর কোম্পানি ডিলার মোহাম্মদ সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেলের সমস্যা তো এক দুই দিনের না। এক-দেড় মাস ধরেই তেল আগের মত পাচ্ছি না। ঘন ঘন গাড়ি পাঠিয়ে তেল আনি। এখন এক গাড়ি আনি, কখনো কম পাই, তা-ই বাজারে দিই।”

অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, একসঙ্গে বেশি নিলে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ কমে যায়। বারবার আনলে মুনাফা কমে যায়।

যাত্রাবাড়ীর শরীয়তপুর ট্রেডার্সের দোকানী সোহরাব মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক সপ্তাহ ধরে কোনো ডিলার আসেনি। এক বোতল ছিল, আজকে শেষ। আমি গিয়ে যদি তেল কিনে আনি, তাহলে খরচ বাড়বে। এক বোতলে তিন টাকা লাভ হলে ক্যামনে পোষাব?”

যাত্রাবাড়ীর মত শনির আখাড়া ও ধোলাইপাড় এলাকার অনেক ‍মুদি দোকানেই কোনো বেতলের তেল পাওয়া যায়নি। দোকানীরা বলেছেন, আগে সব কোম্পানির ডিলারের লোক দোকানে আসত। এখন এক সপ্তাহেও তেলের অর্ডার নিচ্ছে না।

বোতলজাত তেলের সরবরাহে বিঘ্ন দেখা দিলেও খোলা তেলে কোনো ঘাটতি নেই। প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মানের খোলা সয়াবিন তেল।

যা বলছেন বিপণনকারীরা

ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক (রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেল সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন কোন ডিলারকে কত পরিমাণ তেল দিলাম তা সরকারের অফিসগুলোতে জানিয়ে দিচ্ছি।”

ট্যারিফ কমিশন, ভোক্তা অধিদপ্তরসহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থাকেও প্রতিদিনকার চিত্র জানানো হয় দাবি করে তিনি বলেন, “ডিলাররা তেল কোথায় রাখছে তা সরকার দেখতে পারে। তেল বর্তমান দামেই কিনছে ডিলাররা।”

গত বছর ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আগের সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যবসায়ী এখন দৃশ্যপটে নেই। ভোজ্য তেল ব্যবসায় জড়িত এস আলম গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের সয়াবিন তেল বাজারে কমেছে। এ দুটি কোম্পানির ডিলাররা এখন অন্য কোম্পানির তেল কিনে ব্যবসা ধরে রাখছেন।

এ রকম কোম্পানির তেল বাজারে কম থাকলেও সার্বিক তেল আমদানিতে কোনো হেরফের হয়নি মন্তব্য করে মুস্তাফা হায়দার বলেন, “অন্যদের সরবরাহ বেড়েছে, তাই তেল নিয়ে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা সব সময় আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করি। সরকারি অফিসের তথ্য যা পাচ্ছি, তাতে তেলের আমদানি গত এক বছরে কমেনি। কোনো কোনো সময় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।”

তিনি বলেন, “সাবির্কভাবে সয়াবিন তেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন সব কোম্পানি কী পরিমাণ তেল আনছে, উৎপাদন করছে, স্টোরে কতটুকু আছে, ডিলারদের কতটা দিচ্ছে তা সরকারকে জানাতে হয় (বিভিন্ন দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থা)।”

সব পর্যায়ে অনলাইনে তথ্য থাকায় মিলারদের পক্ষ থেকে কোনো সরবরাহজনিত সমস্য নেই বলে তার ভাষ্য।

ডিলাররা তেল কেনার আগেই কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেন। এখন জমা স্লিপ দেখিয়ে অর্ডার ঠিক করেন তারা। আগে তেল নিতে পারবেন কি না, তা জেনে ব্যাংকে টাকা জমা দিতেন ডিলাররা। এখন টাকা জমা দিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তেল পাওয়ার দিন কবে।

ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মুস্তাফা হায়দার সয়াবিন তেল আমদানি ও বিপণকারী টি কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের গ্রুপ পরিচালকও।

তিনি বলেন, “হলফ করে বলতে পারি, আমাদের কোম্পানির তথ্যে কোথাও কোনো সমস্যা নেই। আগে যেভাবে তেল ডিলাররা নিত, এখনো নিচ্ছে। এখন বাজার তদারকি বেশি হওয়ায় কোম্পানির পক্ষ থেকেও ডিলারদের বেশি করে খোঁজ খবর রাখা হয়। প্রতিদিনই কোম্পানির লোকজন বাজারে গিয়ে দেখাশোনা করছে।”

ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রত্যেক ডিলারদের কতটা দেওয়া হয় তার একটি তো হিসাব থাকে। চাহিদা বাড়ালেই যে দেওয়া যাবে তাও নয়। রেগুলার তো পাচ্ছে।”