বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ১৭ ১৪৩১, ৩০ রজব ১৪৪৬

ব্রেকিং

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের পডকাস্ট: ছাত্ররা নিজেরাই দল গঠন করবে: ড. ইউনূস পদত্যাগ বা দল গঠনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: নাহিদ কোটা নিয়ে ৩ সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সীমানা নির্ধারণ আইনের ‘জটিলতা’ কাটাতে সংশোধন প্রস্তাব পাঠাবে ইসি বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের পদত্যাগ বিশ্ব ইজতেমায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে: র‌্যাব মহাপরিচালক আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল আরও ১৬ দিন সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড জি কে শামীমের সম্পদের মামলায় রায় পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ৫ আগস্টসহ বিভিন্ন আন্দোলনের পেছনের কারণ দুর্নীতি: দুদক চেয়ারম্যান ‘জঘন্যতম’ অভিবাসীদের গুয়ানতানামো বেতে পাঠাবেন ট্রাম্প আরও ৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত, বিনিময়ে ছাড়া পাচ্ছে শতাধিক ফিলিস্তিনি

অর্থনীতি

বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করলে ফল আমদানি বন্ধের হুমকি

 প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করলে ফল আমদানি বন্ধের হুমকি

বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আগামী সোমবারের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে পরদিন থেকে ফল আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ফারুক সিদ্দিকী ।

তিনি বলেন, সম্পূরক শুল্কের কারণে তাদের ব্যবসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না, প্রতি চালানে ‘আর্থিক লোকসানে’ পড়তে হচ্ছে।

"বিগত সময়ে প্রতি ট্রাক ফল যেখানে একদিনে বিক্রি করা সম্ভব ছিল, এখন ৩-৪ দিনেও বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পোর্ট থেকে পণ্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার শিপিং ও পোর্টে ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে।

"তাই সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না করলে মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সব স্থল ও নৌ বন্দর হতে আমদানিকৃত তাজা ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।"

গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে সরকার।

ফারুক সিদ্দিকী বলেন, দেশে ফল উৎপাদন হয় চাহিদার ৩৫-৪০ শতাংশ। বাকি ৬০-৬৫ শতাংশ তাজা ফল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

"সাধারণত ব্যবসায়ীরা ব্যাংক লোনের মাধ্যমে ব্যবসা করেন। বর্তমানে ব্যাংকের সুদ হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মূল্যস্ফিতি ও ডলারের মানও উচ্চ পর্যায়ে। এ অবস্থায় তাজা ফলের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপ হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু না।"

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে তারা স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেক ফল আমদানি করতে পারছেন, এর মধ্যে বিক্রি হচ্ছে ২০ শতাংশ।

"ফলতো বিলাস পণ্য না, এটা পথ্য। আমি ব্যবসাটা করতে পারতেছি না, আমি টাকাটা কই পাব? চাহিদা না থাকলে এনে কী করব? সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করলে আপাতত ব্যবসাটা চালায় যেতে পারব৷"