এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে বড় চুক্তি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গ বড় ধরনের একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজি, যার আওতায় বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত গ্যাস সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
গত সোমবার ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এলএনজি সরবরাহে দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠানের এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের চুক্তি বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন মার্কিন প্রশাসনের জ্বালানিবান্ধব নীতিই প্রতিফলিত হলো।
আর্জেন্ট এলএনজি বছরে আড়াই কোটি টন এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতার একটি অবকাঠামো লুইজিয়ানায় গড়ে তুলছে ।
পোর্ট ফোরচনে তাদের প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে চুক্তি অনুসারে, এখান থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি বিক্রি করতে পারবে।
“এই চুক্তি শুধু বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পে নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহই নিশ্চিত করবে না, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্বকেও শক্তিশালী করবে,” বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা পূরণে অনেকদিন ধরেই দীর্ঘমেয়াদী একটা সমাধান খোঁজার পাশাপাশি এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
কিন্তু ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে এলএনজির দাম বেড়ে গেলে দেশটি কয়লাভিত্তিক জ্বালানির দিকে জোর দিতে শুরু করে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলোতে তরলীকৃত গ্যাস রপ্তানির লাইসেন্সের ওপর জ্বালানি বিভাগের যে স্থগিতাদেশ ছিল, ক্ষমতায় আসার পরই ট্রাম্প সেটি বাতিল করার নির্বাহী পদক্ষেপ নেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টাতেই তার এই পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থার তথ্য বলছে, দেশটি বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক।
২০২৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানির সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।