কেন ভ্যাট বাড়ানো হলো, কিছুদিন পর জানা যাবে: অর্থ উপদেষ্টা
শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর ফলে দ্রব্যমূল্যে অতটা প্রভাব ফেলবে না বলে আবারও দাবি করলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ পর্যালোচনা ও চলমান সমালোচনা নিয়ে সাংকবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারির পর থেকে খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন।
ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৬ জানুয়ারি রেস্তোরাঁ ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এনবিআর।
এর চারদিন পর মঙ্গলবার মোটর সাইকেল গ্যারেজ বা গাড়ির ওয়ার্কশপের ভ্যাটও কমিয়ে আগের মত ১০ শতাংশে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা এসেছে খোদ অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কাছ থেকেও।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ভ্যাট বৃদ্ধির উদ্যোগ পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না, সে প্রশ্ন রাখা হলেও অর্থ উপদেষ্টা তা এড়িয়ে যান।
তবে সমালোচনা প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তারা তাদের কথা বলুক। কী প্রেক্ষিতে করেছি, সেটা কয়েকদিন পর জানতে পারবেন।”
সরকারি কর্মকর্তাদের মহার্ঘ ভাতার অর্থ কবে ছাড় করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটার বিষয়ে এখন আমি কিছু বলব না।”
গত দুই মাসে খাদ্যের অত্যাধিক মূল্যস্ফীতির সময়ে সুলভ মূল্যে কচু, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বিপণন শুরু করেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এখন সবজির দাম কমে আসায় বিশেষ ওই ওএমএস বন্ধ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে আমরা বিশেষ ওএমএসটা করেছিলাম। বেশ সাকসেসফুলি কাজটা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষ এই ওএমএসের আয়োজন করেছিল।”
বিশেষ ওএমএসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের ৮ লাখের বেশি মানুষ কাভারেজ পেয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ, বাজারে মোটামুটি একটা স্থিতিশীলতা এসেছে। ভবিষ্যতে যদি আবার প্রয়োজন দেখা দেয় তখন আবারো ওএমএসের বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।”
চালের দাম নিয়ে তিনি বলেন, “সাপ্লাই চেইনটা এখনও ব্রোকেন। মোকামে থাকে, রিটেইলাররা ঠিক মতো আনে না। এটা সরবরাহের সংকট নয়। তবুও চালের দামটা কিছুটা কমেছে।”
বৈঠকে সার কেনার কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে জানিয়ে উপেদষ্টা বলেন, “ডিএপি, ইউরিয়া সারের একটা বাফার স্টক করার চেষ্টা করছি। কারণ, সরকারি সারের মজুদ না থাকলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা দাম বাড়িয়ে দেয়।”