ডিসেম্বরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ১৮%
তৈরি পোশাক খাতের অস্থিরতা কাটতে থাকায় রপ্তানি আয়ে স্বস্তির তথ্য এসেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ।
গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনসহ নানা কারণে অস্থির ২০২৪ সালের শেষ মাসে বাংলাদেশ পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি ছিল ৩৯৩ কোটি ডলার।
এর আগে অক্টোবরে ২০ শতাংশ এবং নভেম্বরেও ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল ইপিবি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ছয় মাসে বাংলাদেশ ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে। তাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৭৪ কোটি ১৯ লাখ ডলার।
দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে গত ডিসেম্বরে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৭৭ কোটি ডলার, আগের বছরের একই মাসে যা ৩২১ কোটি ডলার ছিল।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।
সরকার পতন আন্দোলনকে ঘিরে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে দেশে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এর মধ্যে অন্তত পাঁচদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ কার্যত বর্হিবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।
৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। সেপ্টেম্বরের পুরোটা ও অক্টোবর মাসের শুরুতে পোশাক শিল্পঘন অঞ্চলে ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষ চলে।
সে সময় গাজীপুর ও ঢাকার সাভারে তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হয়। একের পর এক কারখানায় অস্থিরতার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার বাতিলের তথ্যও এসেছিল সরকারের তরফ থেকে।
ওই সময়টাকে অর্থনীতির ‘ভয়ংকর সময়’ বলা হচ্ছিল। এখনো বেক্সিমকোসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মাঝে মধ্যেই আন্দোলনে নামছেন সড়কে।
এমন প্রেক্ষাপটেও ইপিবি রপ্তানি আয়ে এই সুখবর দিল। ইপিবি বলেছে, রপ্তানি আয় হিসাব করার ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে স্থানী মুদ্রার বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১১৯ টাকা ৪৩ পয়সা।