মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, কার্তিক ৭ ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান: পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা জনগণ যেন কুয়াশার মধ্যে আছে: রিজভী নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন নয়, ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা বন্ধ বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ,আশুলিয়ায় দুদিনের বিক্ষোভে ভোগান্তি চরমে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুল শুনানি ৩০ অক্টোবর বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্দোলনে নিহতদের পরিবার-আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে রুল পর্যটন দ্বীপ মনপুরাকে রক্ষায় ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ ‘নাশতা নিয়ে হইচই করায়’ অব্যাহতি ২৫২ জন ক্যাডেট এসআইকে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথে এক ধাপ এগোল জামায়াত ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৫৭ বাংলাদেশি

অর্থনীতি

এক বছরে ডিজেল বিক্রি কমেছে ৭ লাখ টন

 প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

এক বছরে ডিজেল বিক্রি কমেছে ৭ লাখ টন

 গত ২০২২-২২ অর্থবছরে ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন ডিজেল বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। পরের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বিপিসি বিক্রি করে ৪২ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন।

 সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ডিজেলের বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ৯০ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন বা ১৪ শতাংশ।

দেশে হঠাৎ ডিজেল বিক্রি কমে যাওয়ার উদ্বেগজনক কয়েকটি কারণকে সামনে এনেছেন জ্বালানি তেল ব্যবহারকারীরা।  

তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন অনেক কমেছে। পাশাপাশি শিল্প ও যানবাহনে অনেক বন্ধ হয়েছে। ফলে ডিজেলের ব্যবহার কমেছে।

বিপিসির বিক্রয় পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি পণ্য বিক্রয় করেছে ৬৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। যা আগের অর্থবছরের হয়েছিল ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ডিজেলের বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ৯০ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের বিপিসি মোট ৬৮ লাখ টন জ্বালানি তেল বিক্রয় করে। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের বিপিসি মোট ৬২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫৫ লাখ তিন হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল বিক্রয় হয়েছিল।

দেশের ইতিহাসে একক বছর হিসেবে ডিজেলের সর্বোচ্চ বিক্রয় হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে। সে বছর বিপিসি ডিজেল বিক্রয় করে প্রায় ৪৯ লাখ টন।

বিপিসি সূত্রে আরও জানা যায়, গত অর্থবছরের ফার্নেস অয়েল ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২, পেট্রোল ৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২, অকটেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৬, জেট ফুয়েল ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৩, কেরোসিন ৬৯ হাজার ৮৭৪, বিটুমিন ৪৭ হাজার ৬৫৯, লুব অয়েল ১৫ হাজার ৮৯১, মেরিন ফুয়েল ২৭ হাজার ৫৬১, এলপিজি ১১ হাজার ৫৮৯, জেবিও ১০ হাজার ২৬, গ্রিজ ১২৪, এসবিপি ৪ হাজার ৬৮৪, এমটিটি ৩ হাজার ৪৭৯ এবং এলওডি ৪১১ টন বিক্রি হয়েছে।

এ  বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান ও পরিচালক (বিপণন) কবীর মাহমুদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

ডিজিল বিক্রি কমার বিষয়ে পরিচালক (বিপণন)-ই ভালো বলতে পারবেন বলে জানান বিপিসির পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) অনুপম বড়ুয়া।  

গণমাধ্যমকে তিনি  বলেন, জ্বালানি তেল আমদানি স্বাভাবিক আছে। বাজারের চাহিদা অনুসারে সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে কী কারণে তেল বিক্রি কমেছে তা, পরিচালক (বিপণন) ভালো বলতে পারবেন।

প্রসঙ্গত,  কৃষি উৎপাদন, শিল্প প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে জ্বালানি চাহিদা জোগান নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বর্তমানে দেশে ডিজেলের দৈনিক চাহিদা ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়া অকটেনের চাহিদা দেড় হাজার মেট্রিক টন ও পেট্রোলের চাহিদা রয়েছে এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।