নওগাঁর ৬টি হিমাগারে ৮৩৮৫ টন খাওয়ার আলু মজুদ রয়েছে
নওগাঁ জেলার ৬টি হিমাগারে বর্তমানে ১৭ হাজার ৯৯৫ টন আলু মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬১০ টন বীজ আলু এবং খাওয়ার জন্য আলু রয়েছে ৮ হাজার ৩৮৫ টন।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মোতাবেক প্রাত্যহিক মানুষের খাওয়ার জন্য যে পরিমাণ আলু মজুদ রয়েছে তা দিয়ে নওগাঁ জেলার ভোক্তাদের আরও চার মাস চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু আর মাত্র দুই মাসের মধ্যেই নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- জেলায় বর্তমানে মোট ৭টি হিমাগার রয়েছে। এসব কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে আলু সংরক্ষিত আছে ৬টি হিমাগারে। দিনা কোল্ড স্টোরেজ আক্কেলপুরে বীজ আলু রয়েছে ৬৪০ টন ও খাওয়ার আলু রয়েছে ১৫০ টনসহ মোট ৭৯০ টন, নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁয় ইস্টার্ন প্রডিউস কোল্ড স্টোরেজ-এ বীজ আলু আছে ২৮০ টন ও খাওয়ার আলু আছে ৬০০ টনসহ মোট ৮৮০ টন, মাহমুদ কোল্ড স্টোরেজ সাহাপুর নওগাঁয় বীজ আলু আছে ৮১০ টন ও খাওয়ার আলু আছে ১১৫ টনসহ মোট ৯২৫ টন, ফয়েজ উদ্দিন কোল্ড স্টোরেজ, মহাদেবপুরে বীজ আলু আছে ১ হাজার ২৯০ টন ও খাওয়ার আলু আছে ৪ হাজার ৩৬০ টনসহ মোট ৫ হাজার ৬৫০ টন, জামালগঞ্জ কোল্ড স্টোরেজ, নুনুজ, বদলগাছিতে বীজ আলু ৪ হাজার ৫৯০ আছে টন ও খাওয়ার আলু আছে ৪১০ টনসহ মোট ৫ হাজার টন এবং তামান্না কোল্ড স্টোরেজ, ছোট মুল্লুক, মান্দায় বীজ আলু আছে ২ হাজার টন ও খাওয়ার আলু আছে ২ হাজার ৭৫০ টনসহ মোট ৪ হাজার ৭৫০ টন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে- একজন মানুষের প্রতিদিন ৬০ গ্রাম আলু খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জেলায় আলু খেয়ে থাকেন গড়ে ২৫ লাখ মানুষ। সেই হিসেবে আলুর বার্ষিক মোট চাহিদার পরিমাণ ৫৪ হাজার ৭৫০ টন। জেলায় আলু উৎপাদিত হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত আলুর পরিমাণ ২লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টন। উদ্বৃত্ত আলু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়- বিভিন্ন হিমাগারে বর্তমানে খাওয়ার জন্য যে ৮ হাজার ৩৮৫ টন আলু মজুদ রয়েছে তা জেলার মানুষের আরও ৪ মাস চলবে। কিন্তু আগামী দু’মাসের মধ্যেই বাজারে উঠতে শুরু করবে নতুন আলু।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেছেন আমরা বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুদ তথ্যাদি সংগ্রহ এবং সার্বক্ষণিক তদারকি অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যে ব্যাবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। আলু নিয়ে কোন রকম অনিয়ম হতে দেয়া যাবে না।