শিল্পকলার মহাপরিচালকের নাটকীয় পদত্যাগ: পাল্টা প্রতিক্রিয়া ফারুকীর

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সৈয়দ জামিল আহমেদ
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করা ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। তাঁর নাটকীয় পদত্যাগের পর বেশিরভাগ মানুষই তাঁর অভিযোগ বিশ্বাস করে সমর্থন জানালেও, এই বিতর্কের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে ফারুকী ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন, যেখানে তিনি জানান, এটি কেবল ‘ভূমিকা’ বা ‘ট্রেলার’। তিনি পরবর্তীতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন। ট্রেলারে জানান দেন, মূল সিনেমা (লেখা) দেখে বিব্রত হতে পারেন জামিল আহমেদ!
ফারুকী তাঁর পোস্টে জামিল আহমেদের কাজের প্রশংসা করলেও জানান, ভালো শিল্পী হওয়া আর প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পন্ন একজন ব্যবস্থাপক হওয়া এক জিনিস নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিতে হলে ধৈর্য, ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা এবং সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র একজন নাট্য নির্দেশকের টেম্পারামেন্টের সঙ্গে মেলে না। তিনি উল্লেখ করেন, নিজের ফিল্ম ইউনিটে যেভাবে কাজ পরিচালনা করা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে তা করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি জামিল ভাইয়ের নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না, কারণ তাতে আমাকে এমন কিছু রেফারেন্স টানতে হবে যেটা তাঁর জন্য অস্বস্তিকর হবে। আমি চাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তবে পরিস্থিতির কারণে তাঁকে সত্য প্রকাশ করতেই হবে। তাঁর দাবি, জামিল আহমেদের অনেক অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়, কিছু অভিযোগ মিথ্যা এবং কিছু হতাশা থেকে বলা হয়েছে।
ফারুকী স্পষ্ট করে দেন যে, জামিল আহমেদ ফেরার জন্য যে চারটি শর্ত দিয়েছেন, সেগুলো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর বিবেচনা করা হচ্ছে না। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জামিল আহমেদের সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, শুক্রবার রাতে নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি মঞ্চে উঠে সিনেম্যাটিক ভঙ্গিতে তাঁর পদত্যাগ ঘোষণা করেন এবং উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তাঁর এই পদত্যাগের ঘটনা সংস্কৃতি অঙ্গনে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে।