হজযাত্রীদের জন্য মোবাইল অপারেটরদের বিশেষ রোমিং প্যাকেজ ঘোষণা

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, হজযাত্রীদের সুবিধার্থে মোবাইল অপারেটররা বিশেষ রোমিং প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজগুলোর মেয়াদ একদিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত এবং সাধারণ রেটের তুলনায় ১২ থেকে ২৫ শতাংশ কম। সৌদি আরবের রেটের তুলনায় এসব প্যাকেজ ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী। মোবাইল অপারেটরদের কেউ কেউ দেশে সিম কিনলেই রোমিং চালু করে দিচ্ছে, আবার কারও ক্ষেত্রে সৌদি আরবে পৌঁছে রোমিং চালু হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে সিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, তার মধ্যে আছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা। আমাদের দেশ থেকে যখন একটা সিম রোমিংয়ের জন্য বাইরে যায় তার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড। আরেকটা বাধা ছিল, ক্রেডিট কার্ড থাকার পরও ইন্টারন্যাশনাল রোমিং একটা প্রিমিয়াম সার্ভিস, এর রেট যথেষ্ট উচ্চমূল্য ছিল। এটার বিকল্প ছিল সৌদি আরবে গিয়ে ওখান থেকে একটা সিম নেওয়া। সৌদি আরবে সিমের রেটও অনেক উচ্চ। তার চেয়ে বড় কথা, তাদের যে প্যাকেজ আছে সেগুলো সপ্তাহ অনুযায়ী। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। যারা হজের জন্য যাবেন সিম রোমিংয়ের জন্য তাদের আর ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড দরকার হবে না।
এছাড়া, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন একদিনের প্যাকেজ চালু করেছে যেখানে ৫০০ এমবি ডেটার দাম ১৫৪ টাকা, যা সৌদি আরবের তুলনায় সাশ্রয়ী। তাদের ৪৫ দিনের প্যাকেজে ১৫০ মিনিট কল এবং আনলিমিটেড ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে, যার মূল্য ১ হাজার টাকা কমিয়ে ৫,৯৯৯ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। সৌদি আরবে একই মেয়াদের ১০০ জিবি ইন্টারনেট প্যাকেজের মূল্য প্রায় ১৩ হাজার টাকা। রবি ও বাংলালিংকও ছয়টি করে বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়েছে, যেগুলো একইভাবে সাশ্রয়ী।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. মোশাররফ হোসেন জানান, হজযাত্রীদের জন্য প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, যার লিমিট ১২০০ ডলার। এই কার্ড ব্যবহার করে পস মেশিনের মাধ্যমে কোরবানির অর্থ পরিশোধ করা যাবে। কার্ড সংগ্রহের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি ও ছবি জমা দিলেই চলবে। ইতোমধ্যে ১ হাজার কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপ-সচিব মামুন আল ফারুক জানান, সৌদি সরকারের নতুন সিস্টেমের কারণে ভিসা কার্যক্রমে কিছু বিলম্ব হলেও তা চলছে। সরকারিভাবে ৫ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৯৯৫ জন এবং বেসরকারিভাবে ৮১ হাজার ৯০০ জনের মধ্যে ৫৮ হাজার ৭৭৭ জন ইতোমধ্যে ভিসা পেয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকল হজযাত্রী নির্ধারিত সময়েই হজ পালন করতে পারবেন।