সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৫ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: আমির খসরু এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাসী আয় ২২৭ কোটি ডলার দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস ও পিওর পেছনে দুদক মামলার ‘হয়রানি’: বিএনপিকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ চান আমীর খসরু বটগাছ প্রতীক চায় খেলাফত আন্দোলনের জাফর গ্রুপ আইন উপদেষ্টার বাসায় পড়ে থাকা ড্রোনে ধ্বংসাত্মক ডিভাইস পাওয়া যায়নি রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ঢাকায় গ্রেপ্তার আগামী নির্বাচনে অনেক সারপ্রাইজ দেখতে পাব: সামান্তা শারমিন কবি দাউদ হায়দারের নির্বাসিত জীবনের চিরমুক্তি পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার সেই শহীদকন্যার আত্মহত্যা ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবক খুন দুই পুত্রবধূসহ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া অন্তিম শয়ানে পোপ ফ্রান্সিস প্রতিরক্ষা অভিযানের খবর সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ভারতের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত

জাতীয়

বটগাছ প্রতীক চায় খেলাফত আন্দোলনের জাফর গ্রুপ

 প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বটগাছ প্রতীক চায় খেলাফত আন্দোলনের জাফর গ্রুপ

নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক অংশের সভাপতি আবু জাফর কাশেমী।

বটগাছ প্রতীকে নিজেদের বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক অংশের সভাপতি আবু জাফর কাশেমী। আগামী নির্বাচনে তারা প্রতীকটি নিয়ে ভোটেও অংশ নিতে চায়।

 

রোববার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের জাফর কাশেমী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার। আমরা বিগত সরকারের নির্বাচন বয়কট করেছি। বয়কট করার কারণে আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি চার মাস জেল খেটেছি। আমাদের মহাসচিব ৩২ মাস জেল খেটেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটি দল আছে। যারা পতিত সরকারের সময় নির্বাচন করে অনেক ফায়দা লুটেছে। তারা নির্বাচন করে প্রতীকটা নিয়ে নিয়েছে। অথচ, আদালতের রায় আমরা পেয়েছি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তারা হেরে গেছে। এখন বটগাছ প্রতীক আমাদের প্রাপ্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা এটা নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য দরখাস্ত করেছি। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে যেন আমরা বটগাছ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারি। আমাদের খেলাফত আন্দোলনের যে আরেক অংশ রয়েছে, তারা বিগত দিনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতীকটা ব্যবহার করেছে। আমরা আগে নির্বাচন করি নাই। এখন যেহেতু আমরা নির্বাচন করব, সেহেতু প্রতীকটা আমরা চাচ্ছি আমাদের নামে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। আমরা বিদেশেও সফর করেছিলাম। চায়না আমাদের পাঁচটি দলকে দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। আমরা চায়, ইসলামী দলগুলো যেন একটি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারি, ঐক্যবদ্ধভাবে। আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমরা বারবার বসেছি। নির্বাচনী এলাকায় আমাদের একটি প্রতীক থাকবে। যার যেখানে গ্রহণযোগ্যতা আছে, যেন সে পাস করে আসতে পারে। যে দলেরই হোক না কেন, সেখানে প্রার্থী দিয়ে আমরা তাকে পাস করিয়ে আনার চেষ্টা করব।

আবু জাফর কাশেমী বলেন, আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি দেশ গঠনে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে, দেশটাকে নতুন করে গড়ার। সেজন্য আমাদের যত দ্বন্দ্ব আছে, আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে দেশ গঠনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ইনশাআল্লাহ, সব ইসলামী দল আমরা একসঙ্গে হবো, এটাই আমাদের প্রচেষ্টা। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। আমাদের মিল হয়ে গেছে। এখন শুধু ঘোষণাটা বাকি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, আগে সংস্কার হতে হবে। প্রত্যেক জায়গায় স্বৈরাচারী সরকারের কর্মকর্তারা রয়েছেন। পতিত সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন। সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন এবং নির্বাচন যেন একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে হয়। দ্বিতীয়ত হলো, আগে জাতীয় নির্বাচন হবে নাকি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে। যদি আগে জাতীয় নির্বাচন হয়, যে দল ক্ষমতায় আসবে, মেয়র থেকে মেম্বার পর্যন্ত তাদের দলীয় লোক ছাড়া অন্য কারো নির্বাচন করার সুযোগ নেই। সেজন্য আমরা চাচ্ছি, আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে, পরে জাতীয় নির্বাচন হবে। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং যোগ্য লোক দেশের সেবা করার সুযোগ পাবে।