মার্কিন কোম্পানিতে কাজী আনিসের শেয়ার অবরুদ্ধ, আরও ৬ বাড়ি ও ৪ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ

আদালতের আদেশে কাজী আনিস আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির শেয়ার ও পরিবারটির একাধিক সম্পত্তি অবরুদ্ধ
জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদের নামে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা একটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নামে থাকা আরও ছয়টি বাড়ি ও চারটি ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, 'এজেন্টটা এলএলসি' নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানির ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক কাজী আনিস আহমেদ। সেখানে তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৩১ মার্কিন ডলার। তবে এই বিনিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানায় দুদক।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, জেমকন গ্রুপের মালিক ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই কাজী আনিস আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদ, এক বোন, মা আমিনা আহমেদ এবং মৃত বাবা কাজী শাহেদ আহমেদের নামে থাকা পঞ্চগড় জেলার ১৭৫টি জমি, ধানমণ্ডি ও গুলশানের বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রোক করা হয়েছে।
পৃথকভাবে ধানমণ্ডিতে কাজী নাবিলের ছয়তলা বাড়ি, তাঁর বাবার তিনটি বাড়ি, মায়ের নামে থাকা তিনটি ফ্ল্যাট এবং কাজী আনিস আহমেদের একটি বাড়ি ক্রোকের আওতায় এসেছে। এছাড়া কাজী ইনাম আহমেদের নামে থাকা বাড়ি এবং গুলশানের একটি ফ্ল্যাটও ক্রোকের আদেশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর আগে ১৩ মার্চ আদালত জেমকন গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩৬টি কোম্পানির মোট ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার অবরুদ্ধ করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত কাজী নাবিল, তাঁর দুই ভাই, মা, মৃত বাবা ও আরও পাঁচজন স্বজনের নামে থাকা ১১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন। এই তালিকায় রয়েছে নাবিলের ২১টি, আনিসের ২০টি, ইনামের ১০টি, আমিনার ২৫টি ও কাজী শাহেদের সাতটি ব্যাংক হিসাব।
এ ছাড়া তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও পাঁচজন— মালিয়া মান্নান আহমেদ, কাজী সিরাজ আহমেদ, লতিফা মান্নান ইসলাম, রাইয়াদ জায়েদ মান্নান ও আবু মুসার নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগেই, ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই এবং তাঁদের মায়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। দুদক জানিয়েছে, জেমকন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতি ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত চলছে।