বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১০ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল, সিন্ডিকেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন ও সংস্কারে একমত ইসলামী আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদ মিরাজ-তাইজুলের আঘাতে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কাতারকে আহ্বান: ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ-হত্যার বিচার শুরু সিদ্ধান্ত পাল্টে ফের আন্দোলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপদেষ্টা, অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা ড. ইউনূসের নামে দুদকের মামলা বাতিল পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ : অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের ‘আলু হইছে গলার কাঁটা’ কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা টিউলিপের বক্তব্য জানতে ঢাকার দুই ঠিকানায় তিনবার দুদকের নোটিস, চিঠি ফেরত গাজায় শিশু হাসপাতালেও ইসরায়েলি হামলা, আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত বিজয়ের বিবেকের জাগরণ : রক্তে লেখা আত্মদানের গল্প

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কাতারকে আহ্বান: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

 আপডেট: ১৬:০০, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কাতারকে আহ্বান: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

২৩ এপ্রিল কাতারের দোহায় আয়োজিত আথর্না সামিটের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত একটি গোলটেবিল আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। কাতার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এবং কাতারের আমিরের বোন শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিও আলোচনায় অংশ নেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ অবস্থান বাংলাদেশের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ এবং এটি রোহিঙ্গাদের হতাশ করে তুলেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং অবৈধ অভিবাসনের প্রচেষ্টা তাদের মধ্যে হতাশার স্পষ্ট লক্ষণ। তিনি সতর্ক করে দেন, এই সংকট অব্যাহত থাকলে তা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন উদ্যোগকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

তিনি কাতারকে আহ্বান জানান, মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করতে এবং ওআইসি দেশগুলোকে সক্রিয় করতে। তিনি বলেন, কাতার তার ভূরাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় নিরূপণে আইসিজে, আইসিসি ও আইআইএমএম-এর চলমান কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে ইউনূস বলেন, রাখাইনে আস্থা তৈরিতে দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি ওআইসি তহবিলে কাতারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন, যাতে বিচারিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যায়।

তিনি জানান, রাখাইনে বর্তমানে আর্মড সংঘাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। আরাকান আর্মি এখন সীমান্তবর্তী ১৭টি শহরের ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫.৪ লাখে পৌঁছেছে। শুধু ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এক লাখের বেশি নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৯০৯ জন নিরাপত্তা সদস্যের মধ্যে ইতোমধ্যে ৮৭৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ৩৪ জনকে শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।

সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক তহবিল সংকোচনের কথাও তুলে ধরেন ইউনূস। তিনি জানান, জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) এর আওতায় অর্থায়ন কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হ্রাস, এবং ডব্লিউএফপি’র সম্ভাব্য খাদ্য সহায়তা বন্ধের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে। তাই তিনি কাতারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সহায়তার আহ্বান জানান।