রাজধানীতে পেঁয়াজ-সবজির চড়া দাম, পুরনো তেল বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে

রাজধানীর কাঁচাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাশাপাশি সবজির বাজারেও তেমন কোনো স্বস্তি নেই। এর মধ্যে ভোক্তাদের হতাশ করছে সয়াবিন তেলের বাজার, যেখানে পুরনো বোতলের তেলও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে।
মহাখালী, সাততলা ও নিকেতন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। অথচ গত সপ্তাহে তা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।
সাততলা বাজারের বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, “এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষ। পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।”
তবে ক্রেতারা এমন যুক্তি মানতে নারাজ। বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, “স্টকে থাকা পুরনো পেঁয়াজ দিয়ে নতুন দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা।” হোটেল ব্যবসায়ী জেসমিন বেগম বললেন, “জানলে আগে কিছু মজুত করে রাখতাম।”
গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম তেমন কমেনি। বেগুন ৬০–৮০ টাকা, করলা ৭০–৮০, বরবটি ৯০, পটল ৭০–৮০, ঢেঁড়স ৬০, চিচিঙ্গা ৮০ এবং কচুর লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবচেয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁকরোল (১৩০–১৪০ টাকা) ও সজনে (১৪০ টাকা)। ধনে পাতা ১৪০, ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা কেজিতে মিলছে।
নিকেতন বাজারের বিক্রেতা জয়নাল হোসেন বলেন, “গরমের সবজির দাম এখনো একটু চড়া। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।”
সরকার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করলেও, নতুন দাম লেখা বোতল এখনও বাজারে আসেনি। তবুও পুরনো লেবেল লাগানো ১৭৫ টাকার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫–১৯০ টাকায়।
ক্রেতা মো. হাফেজ জানান, “গায়ের দামে ১৭৫ লেখা তেল কিনেছি ১৯০ টাকা দিয়ে।” সাততলা বাজারের বিক্রেতা জুয়েল মিয়া বলেন, “নতুন দামের বোতল আসলেই দামে স্বস্তি ফিরবে।”
বাজারে সামান্য পরিবর্তন এলেও তা ভোক্তাদের জন্য আশার খবর হয়ে উঠছে না। নতুন দামে পুরনো পণ্য বিক্রি, সরবরাহের অজুহাতে বাড়তি দাম—সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ পড়েছে বড় চাপের মুখে।
নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।