শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৬ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নারীসহ ৪ জন নিহত টাকা পাচার বন্ধে ব্যাংক রেজোল্যুশন অধ্যাদেশ পাস বিএনপির সঙ্গে বিরোধ? এটা কোনো বিরোধই না: জামায়াত আমির সংস্কারে একমত না হলে নির্বাচন পেছাবে: জামায়াত আমির সংস্কারে সিরিয়াস বিএনপি: সালাহউদ্দিন হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‌‘অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো’ বললো ভারত প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের এফওসি’র আয়োজন ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে ‘বিভ্রান্ত’ বিএনপি ১২ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা রোববার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি গ্যাসের দামে ভেদাভেদ: ‘পিছিয়ে পড়বেন’ নতুন উদ্যোক্তারা রাশিয়ার কাছে কেন মার্কিন যুদ্ধবিমান হারাচ্ছে ইউক্রেন? মেয়ের জন্য চাকরি চান শহীদ বাচ্চুর স্ত্রী লাইলি বেগম

জাতীয়

এসবি পরিদর্শক হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

 প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

এসবি পরিদর্শক হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান, তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়াসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন: মামুন ইমরানের বন্ধু রহমাত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) এবং সারোয়ার হোসেন (২৩)।

এই মামলার দুই প্রধান আসামি আরাভ খান ও তার স্ত্রী কেয়া পলাতক। অন্য ছয় আসামির মধ্যে রহমাত উল্লাহ ও সারোয়ার হোসেন জামিনে ছিলেন এবং আদালতে হাজির হন। বাকিদের কারাগার থেকে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে পলাতক আরাভ খান ও কেয়ার বিরুদ্ধেও সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গল থেকে এসবি পরিদর্শক মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এ মামলা কয়েকবার রায় পেছানোর পর অবশেষে ১৭ এপ্রিল রায় ঘোষণা করা হয়, যা দেশের আলোচিত হত্যা মামলাগুলোর একটি হিসেবে গণ্য হচ্ছে।