শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৬ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নারীসহ ৪ জন নিহত টাকা পাচার বন্ধে ব্যাংক রেজোল্যুশন অধ্যাদেশ পাস বিএনপির সঙ্গে বিরোধ? এটা কোনো বিরোধই না: জামায়াত আমির সংস্কারে একমত না হলে নির্বাচন পেছাবে: জামায়াত আমির সংস্কারে সিরিয়াস বিএনপি: সালাহউদ্দিন হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‌‘অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো’ বললো ভারত প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের এফওসি’র আয়োজন ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে ‘বিভ্রান্ত’ বিএনপি ১২ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা রোববার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি গ্যাসের দামে ভেদাভেদ: ‘পিছিয়ে পড়বেন’ নতুন উদ্যোক্তারা রাশিয়ার কাছে কেন মার্কিন যুদ্ধবিমান হারাচ্ছে ইউক্রেন? মেয়ের জন্য চাকরি চান শহীদ বাচ্চুর স্ত্রী লাইলি বেগম

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ২১ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিলেন জেলা প্রশাসক

 প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ২১ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিলেন জেলা প্রশাসক

ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার ২১ জন বীরের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা। আজ বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি শহীদ পরিবারের হাতে দুই লাখ টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হোসনে আরা বেগম। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক (উপসচিব) ড. মো. মনিরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) ইব্রাহীমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “যে মা সন্তান হারিয়েছেন, যে বোন ভাই হারিয়েছেন, তাদের হৃদয়ের ক্ষত কোনো আয়োজনে পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তারা যে স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন, যদি আমরা সে স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই তাদের ত্যাগ সার্থক হবে।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের রক্ত আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছি।”

শহীদ পরিবারগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রথম শহীদ আদিলের পিতা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম আমাদের পরিবারেরই একজন সন্তান। তিনি সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের পাশে ছিলেন। আমরা তাঁর কাছে শহীদদের স্মরণে নামফলকসহ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা এবং কবরগুলো স্থায়ীভাবে চিহ্নিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ এবং গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন।

অনুষ্ঠানজুড়ে আবেগঘন পরিবেশ বিরাজ করে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের হাতে অনুদানের চেক গ্রহণকালে চোখের জলে প্রিয়জন হারানোর বেদনা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা নিজেদের দাবি ও আশাবাদের কথাও তুলে ধরেন।