চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যার হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবি

চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত ১,০০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পঞ্চগড় আঞ্চলিক শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের, সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় শাখার সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুর, রংপুর ও নীলফামারীতে ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, অথচ পঞ্চগড় এখনো বঞ্চিত। দূরত্বজনিত কারণে গুরুতর রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পঞ্চগড়বাসীর ন্যায্য অধিকার হিসেবে এখানে মানসম্মত চিকিৎসা সেবার সুযোগ তৈরি করা জরুরি।
তারা আরও বলেন, চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজটি পঞ্চগড়ে স্থাপন করা হলে ভুটান, নেপাল ও চীনের শিক্ষার্থীরাও এখানে পড়াশোনা ও চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হবে। এতে পঞ্চগড় হয়ে উঠবে একটি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা ও শিক্ষার কেন্দ্র।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ও চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন যৌথভাবে এ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের আপত্তির কারণে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
তারা জানান, পঞ্চগড়ে শুধুমাত্র ১২ একর নয়, শত একরের নির্ভেজাল জমি প্রস্তুত রয়েছে। এই প্রকল্প যদি পঞ্চগড়ে স্থাপন না করা হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই দাবির অংশ হিসেবে আগামী ১৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় জেলা জজ কোর্ট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে গণজমায়েত হবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলেও জানান আয়োজকেরা।