পহেলা বৈশাখ ঘিরে চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষায় গত ১ মার্চ থেকে দুই মাসের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশের চাহিদা ও উচ্চ মূল্যের সুযোগ নিয়ে অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারে মেতে উঠেছে। তারা ছোট নৌকায় মাছ ধরে নদী তীরবর্তী আড়তে বিক্রি করছে এবং পুনরায় নদীতে ফিরছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, অনেকেই পেটের দায়ে মাছ ধরছে। কিছু অসাধু পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তার অর্থের বিনিময়ে মাছ ধরার অনুমতি দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। মাঝারি ইলিশ ১,২০০ থেকে ২,০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতির চাঁদপুর জেলা সভাপতি শাহ আলম মল্লিক বলেন, কারেন্ট জাল বন্ধ না হলে জাটকা নিধন বন্ধ হবে না এবং অভিযান পুরোপুরি সফল হবে না।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি একেএমএস ইকবাল হোসেন বলেন, জনবল সীমিত হলেও তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নববর্ষ উপলক্ষে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন জানান, বেশিরভাগ মানুষ জানে এখন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। পান্তা-ইলিশ আয়োজনের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। অল্প কিছু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে চাঁদপুরে ৪৪ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে, যাদের মধ্যে ৪০ হাজার জেলেকে নিষেধাজ্ঞাকালে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ও ২ মেট্রিক টন জাটকা জব্দ করা হয়েছে।