চোখ খুলেছে লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ সেই শিশু, নারী গ্রেপ্তার

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শিশু আবিদা সুলতানাকে লক্ষ্মীপুরে সদর হাসপাতালে প্রাথিমক চিকিৎসা দেওয়া হয়-ফাইল ছবি।
লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছয় বছরের আবিদা সুলতানা ৭২ ঘন্টা পর চোখ খুলেছে। তবে সে কথা বলছে না বলে জানিয়েছেন তার মা আমেনা বেগম।
শুক্রবার বিকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবিদা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসকের বরাতে আমেনা জানিয়েছেন, আবিদার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার ফুসফুস, কিডনি ও লিভারে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আবিদাকে গুলি করে ‘হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগে অহিদসহ তিনজনের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন তার বাবা ইব্রাহিম খলিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার করার পর ফাতেমা বেগম আঙ্কুরী নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আঙ্কুরী মামলার প্রধান আসামি অহিদের স্ত্রী। অপর আসামি অহিদের ছেলে মো. ফাহিম। ঘটনার পর থেকে অহিদ ও ফাহিম পলাতক রয়েছেন।
সোমবার সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের কাচারি বাড়ি এলাকায় বাড়িতে শিশু আবিদা গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার সময় আবিদা প্রধান অভিযুক্ত অহিদের মেয়ে জেরিনের সঙ্গে খেলছিল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবিদাকে তার মা ঘরে চলে আসার জন্য ডাকছিলেন। তখন অভিযুক্ত ফাতেমা ও ফাহিমের প্ররোচনায় আবিদাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল নিয়ে অহিদ গুলি করে। গুলিটি আবিদার পিঠের ডান পাশে বিদ্ধ হয়ে পেটের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক আবিদা অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আবিদাকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অহিদ একজন ‘অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’।
মামলার বাদী ইব্রাহিম প্রবাসে থাকাকালীন অহিদ বিভিন্নভাবে তার কাছ থেকে টাকা নিতেন। একবছর আগে ইব্রাহিম প্রবাস থেকে চলে আসেন। এর পর থেকে অহিদকে আর টাকা-পয়সা দিচ্ছেন না। এজন্য তাদের মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর হাসপাতালে আনার পথে ধারণকৃত একটি ভিডিওতে শিশু আবিদাকে বলতে শোনা যায়, অহিদ তাকে গুলি করেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে গুলি করছে সে কথা বলতে পারেনি। তার দুই চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার করা আসামিকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।