ঈদযাত্রা: শুক্র ও শনিবার ঢাকা ছেড়েছে ৪১ লাখ সিমধারী

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে শুক্র ও শনিবার দুই দিনে চার মোবাইল অপারেটরের প্রায় ৪১ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
রোববার এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “মোবাইল সিম মবিলিটির হিসেবে গত দুই দিনে প্রায় ৪১ লক্ষ ব্যবহারকারী ঢাকা ত্যাগ করেছেন।”
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেইসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
সেখানে দেখা যায়, ২৮ মার্চ গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৭টি সিমের গ্রাহক ঢাকা ত্যাগ করেছে। আর ৮ লাখ ১২ হাজার ৩৩২টি সিমের গ্রাহক ঢাকায় এসেছেন এ সময়ে।
২৯ মার্চ চার অপারেটরের ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪টি সিমের গ্রাহক ঢাকা ত্যাগ করেছেন এবং ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪টি সিমের গ্রাহক ঢাকায় আসেন।
অর্থাৎ, এই দুই দিনে ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ৬২১টি সিমের গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন এবং ১৪ লাখ ৩৩৬টি সিমের গ্রাহক ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও শফিকুল আলমের দেওয়া পরিসংখ্যানে বিপুল পরিমাণ মানুষের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার প্রমাণ মিললেও এটি ঈদের জন্য বাড়িফেরা মানুষের ‘প্রকৃত সংখ্যা’ নয়।
মোবাইল ফোনবিহীন শিশুরা এই হিসাবের বাইরে থাকছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, শূন্য থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সীরাই মোট নাগরিকের ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ।
তাছাড়া একাধিক সিম ব্যবহারকারী থাকায় প্রকৃত হিসাব পাওয়া কঠিন। আর এটা কেবল দুদিনের হিসাব। তার আগের কয়েক দিনে যারা ঢাকা ছেড়েছেন ঈদ উপলক্ষে, তাদের হিসাবও এখানে আসেনি।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের হিসাবে, ঢাকার জনসংখ্যা এখন সোয়া দুই কোটির মত। এর মধ্যে এক কোটির বেশি মানুষ ঈদে অন্য কোনো জেলায় যান বলে ধারণা করা হয়।
৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর ধরে আগেই ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। এর আগে-পরে (২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) চার দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল নির্বাহী আদেশে।
ঈদের ছুটি শুরুর আগে ২৮ মার্চ পড়েছে শুক্রবার। ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল। সেদিনও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিনের ছুটিতে থাকবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ছুটি শেষে অফিস খুলবে আগামী ৬ এপ্রিল।