মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, চৈত্র ১৮ ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আজ বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস

 আপডেট: ০০:২১, ২৬ মার্চ ২০২৫

আজ বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস

পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার শৃঙ্খল ভেঙে ৫৪ বছর আগে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকীতে, জাতি আজ সশ্রদ্ধভাবে স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের দীর্ঘ পথচলাকে।

চব্বিশে জুলাইয়ের অভ্যুত্থান পথে, তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে এক বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে তাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে গোটা দেশ সাজানো হয়েছে লাল-সবুজে, আর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ উজ্জ্বল হচ্ছে গৌরবময় অতীতের ছায়ায়।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বাণী
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াক এক নতুন বাংলাদেশ-মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।” তিনি সকলকে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাণী
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি স্বাধীনতার সংগ্রামকে স্মরণ করে বলেন, “স্বাধীনতা অর্জন ছিল আমাদের আত্মমর্যাদা, অস্তিত্ব রক্ষা এবং অধিকার আদায়ের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের চূড়ান্ত ধাপ।”

কালরাতের স্মরণ
২৫ মার্চ, ১৯৭১-এ পাকিস্তানি বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালায়, যা কালরাত হিসেবে ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ দিনটি জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইপিআরের বেতারে তার এই ঘোষণা প্রচারিত হয়।

স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। দেশের বিভিন্ন শহরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো। এছাড়া, বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে।

এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে, এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।

এবার, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রাজনৈতিক মাঠে নেই। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে, যেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে।