দুদকের মামলা: ড. ইউনূসের আপিলের ওপর রায় ২৩ এপ্রিল

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নোবেল বিজয়ী ও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ২৩ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ আজ বুধবার এই দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে আসামির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ জনে পৌঁছায়।
গত বছরের ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ দণ্ডবিধি ও মানি লন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। এ আদেশের পর মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ সাতজন। কিন্তু ২৪ জুলাই হাইকোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্যান্য কর্মকর্তারা। ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ শুনানির জন্য লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এবং আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর এ বিষয়ে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শুনানি সম্পন্ন হয়।
ড. ইউনূসের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, "দুদক গত বছরের আগস্টে এই মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কিন্তু মামলা যদি প্রত্যাহার করতেই হয়, তাহলে তা বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। আমরা আইনি শুনানির মাধ্যমে মামলাটি বাতিলের আবেদন করেছি।"
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আগামী ২৩ এপ্রিল মামলার রায় ঘোষণা করবে। এই রায়ের মাধ্যমে মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।