নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযানে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) প্রধানসহ ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার সময় গোপন বৈঠক চলাকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনী (৪৮), মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার চর আলগী এলাকার আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪), আসমত উল্লাহ (৪০), মো. হাসান (৪৩), সলিমুল্লাহর স্ত্রী আসমাউল হোসনা (২৩), ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর, মোসাম্মত শাহিনা (২২) ও ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং আর সলিমুল্লাহ, মোসাম্মত শাহিনা ও ১৭ বছর বয়সী কিশোরী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন।
আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনী আরসার প্রধান কমান্ডার বলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে। তিনি আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন বলে আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করে আসামিদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ছয়জনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চারজনের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।
র্যাব-১১ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকা (৬জন) ও ময়মনসিংহের নতুন বাজার মোড় এলাকায় (৪জন) অভিযান চালিয়ে এআরএসএর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি খোরশেদ আলম মোল্লা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও ফরেন অ্যাক্টে দুটি মামলা হয়েছে এবং ছয়জনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।