বরগুনা ও মাগুরায় ‘ধর্ষণের শিকার’ ২ শিশুর পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ

বরগুনায় ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশু ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আর মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মারা যাওয়া শিশুর বড় বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে বলা হয়েছে সেখানকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ আদেশ দেয় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ছবি-ভিডিও সরাতে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল, তার সম্পূরক হিসেবে আবেদনটি করা হয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
হামিদুল মিসবাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বরগুনায় ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার পরিবার এবং মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের কারণে মারা যাওয়া শিশুর বড় বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।
বরগুনা সদরের ১৪ বছর বয়সী শিশুটি ৪ মার্চ প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পরদিন দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে তার ওপর আসামিপক্ষ চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। এক সপ্তাহের মাথায় ১১ মার্চ বাদীর বাড়ির পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ দুই ঘটনার প্রতিবাদে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইতোমধ্যে মানববন্ধন পালন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
আর মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে গিয়ে গত ৬ মার্চ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন; যে ঘটনা আলোড়ন তোলে দেশজুড়ে। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৩ মার্চ শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যায়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, শিশুটির ভগ্নিপতি সজীবের সহায়তায় ওই নির্যাতন চালায় সজীবের বাবা হিটু মিয়া। বিষয়টি জাবেদা ও তার ছোট ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা চালান তারা। এ ঘটনায় তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।