নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম বাসস'কে আজ এ কথা জানান
এর আগে, গত বুধবার আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান। সচিবালয়ে ধর্ষণ বিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেছি। আমরা একটা খসড়া (সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন) আইন করেছি, সেটি আজ আমরা সার্কুলেট করছি কিছু কিছু স্টেকহোল্ডারের কাছে। যতদ্রুত সম্ভব আমরা আইনটি কঠোর করার চেষ্টা করবো। ধর্ষণের মামলার বিচার যাতে শুধু দ্রুত নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয়-আমি এগুলো তাদের বলেছি।
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে। বিচারক যদি মনে করেন তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ ও তদন্তকাজ চালাতে পারবেন-এমন বিধান রাখার বিষয় থাকছে।
আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।