ইসির কাছে এনআইডি রাখা প্রয়োজন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন (ইসি)
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এনআইডি ইসির অধীনে রাখাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, তারা আপত্তি নয়, বরং মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে এনআইডি ব্যবস্থাপনায় আমাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তৈরি হয়েছে। এটি অন্য সংস্থার অধীনে নেওয়ার চেয়ে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও বহুমুখী করা যায়, তা নিয়ে ভাবা উচিত। বর্তমানে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছি, যা এনআইডির কার্যকারিতা প্রমাণ করে।’
ভোটার ও আসন পুনর্বিন্যাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনসংখ্যা পরিবর্তনের ফলে শহরমুখী আসন সংখ্যা বাড়ছে, তবে জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় আসন পুনর্বিন্যাস করা উচিত।
ফলাফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফিকেশন দেওয়ার প্রস্তাব অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি, কারণ গেজেট প্রকাশের মাধ্যমেই চূড়ান্ত ফল নিশ্চিত হয়।
ইসির শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইসির শাস্তির ব্যবস্থা আগেও ছিল। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বা অন্যান্য প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে নির্বাচন শেষের পাঁচ বছর পর কেউ অভিযোগ করলে তখন শাস্তির জন্য আদালতে দৌড়ানো কতটা বাস্তবসম্মত?’
সংস্কার কমিশনে পাঠানো চিঠিতে আপত্তি জানানো হয়নি, বরং ইসি তাদের অবস্থান ও ভিন্নমত প্রকাশ করেছে।