সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫, চৈত্র ৩ ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

খুন, ধর্ষণের ঘটনায় আমরা পীড়িত: মির্জা ফখরুল

 আপডেট: ২২:১০, ১৬ মার্চ ২০২৫

খুন, ধর্ষণের ঘটনায় আমরা পীড়িত: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে খুন, জখম ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তিনি অত্যন্ত পীড়িত। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে আসার ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

আজ রোববার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এই ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগঃ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু এখনো আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। পত্রিকার পাতা খুললেই খুন, জখম, ধর্ষণের খবর দেখে বিচলিত হয়ে পড়ি। এসব ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক।’

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে ছাত্ররা ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও তাঁদের ন্যায্য দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সংযম ও ধৈর্যের আহ্বান জানান।

নির্বাচনের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আহ্বানঃ বিএনপির মহাসচিব মনে করেন, যত দ্রুত নির্বাচন হবে এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে আসবেন, তত দ্রুত দেশের স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ‘যত দেরি হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো তত বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। পাশাপাশি উগ্রবাদীরাও এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘আমরা ৩১ দফা দাবি দুই বছর আগে দিয়েছি, যখন এই সংস্কারের কথা কেউ ভাবেনি। এখন বিভিন্ন মহল থেকে আসা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে আমাদের দাবির খুব বেশি পার্থক্য নেই। তাই দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা দরকার,’ বলেন তিনি।

স্বাধীনতার স্বাদ পুনরুদ্ধারের প্রত্যয়ঃ মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘একদিকে রাজনৈতিক কাঠামো নষ্ট করেছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। এখন এই ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, সবার দায়িত্ব।’

তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে যাওয়ার জন্য অন্তবর্তী সরকারকে আহ্বান জানান।

ইফতার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।