শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২৯ ১৪৩১, ১৪ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

সংস্কার: ৩০ দলই ঐক্যমত্য কমিশনে মতামত দেয়নি জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায় তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন: ১৫ জুলাই হামলা ছিল পরিকল্পিত, ঢাবির ১২২ জন শনাক্ত ২৮ মার্চ শি’র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি আদায়ের নামে রাস্তা অবরোধ করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ঢাকা অযৌক্তিক বলল ৩ মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার মাগুরার শিশুটিকে ধর্ষণ-হত্যার বিচার আগামী ৭ দিনের মধ্যে শুরু: আইন উপদেষ্টা মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে: আইজিপি চিকিৎসক নিয়োগে আসছে বিশেষ বিসিএস বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যু, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিএনপি মহাসচিবের ফল আমদানিতে উৎসে কর কমল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক অবশেষে মারাই গেল মাগুরার সেই শিশুটি যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়লো শনি গ্রহের নতুন ১২৮টি চাঁদ আবিষ্কার পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি ঘটনা: ৩০ ঘণ্টা পর অবসান

জাতীয়

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

 প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১৩ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চারদিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছে।

সফরকালে চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও উপস্থিত থাকবেন।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরসূচি তুলে ধরে এসব তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা আসবেন। রোববার-১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানের মধ্যে তার সফরের প্রধান কর্মসূচি শুক্র ও শনিবার (১৪ ও ১৫ মার্চ)। শুক্রবার তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

আজাদ বলেন, এরপর ওইদিনই প্রধান উপদেষ্টাসহ জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার যাবেন। কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কিছু কর্মসূচি আছে। তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরের একটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন এবং একটি জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি একটি মডেল মসজিদেরও উদ্বোধন করবেন।

“জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারে নেমে সরাসরি চলে যাবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। যেখানে তিনি একটি ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে একটি ক্যাম্পেইন এবং রোহিঙ্গাদের পুষ্টি ও সহায়তার বিষয় নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন শুনবেন। এরপর রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টারে গিয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখবেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজারের একটি লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করবেন।”

এসব অনুষ্ঠান শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিত থাকার সূচি তুলে ধরে উপপ্রেস সচিব বলেন, “আমরা আশা করছি, এক লাখ রোহিঙ্গা এই ইফতারে অংশ নেবেন।

“ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে। এটি রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ইউনিক এক্সপেরিয়েন্স হবে, যেখানে তাদের দুঃখ-কষ্টের মাঝে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।’’

তিনি বলেন, তারা দুজন সেদিনই কক্সবাজার থেকে ফিরে আসবেন। পরদিন শনিবার মহাসচিব কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। দুপুরে ঐকমত্য কমিশন এবং পরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেদিনই সংবাদ সম্মেলনে আসবেন তিনি।

এরপর প্রধান উপদেষ্টা তার সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করেছেন, সেখানে যোগদান করবেন আন্তোনিও গুতেরেস। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন।

ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের এ সফর রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্বনেতাদের নজর কাড়তে সহায়তা করবে।

“আমরা আশা করছি, এই সফর রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা এবং অগ্রগতির পথ উন্মুক্ত করবে। রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অনেক কমে গেছে। আমরা আশা করছি জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের মাধ্যমে এই মানবিক সহায়তাগুলো জোগাড় করার ওপর একটি ভূমিকা রাখবে। তাদের পুষ্টি সহায়তা খুবই জরুরি।”

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিমাসে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য যে সহায়তা আসে সেটা যেন বন্ধ না হয়, তাতে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে সে চেষ্টা চলছে।

প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। ফিনল্যান্ড ও মালয়েশিয়া এতে কো-স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।