বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২৯ ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

মাগুরার শিশুটিকে ধর্ষণ-হত্যার বিচার আগামী ৭ দিনের মধ্যে শুরু: আইন উপদেষ্টা মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে: আইজিপি চিকিৎসক নিয়োগে আসছে বিশেষ বিসিএস বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যু, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিএনপি মহাসচিবের ফল আমদানিতে উৎসে কর কমল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক অবশেষে মারাই গেল মাগুরার সেই শিশুটি যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ মাগুরার নির্যাতিত শিশুর মৃত্যু, প্রধান উপদেষ্টার শোক সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়লো বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ফোন চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর যুবকের গায়ে আগুন শাহবাগে ফ্যাসিবাদ ইস্যুতে মাহফুজ আলমের ব্যাখ্যা নারায়ণগঞ্জে ‘ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে’ যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন শহীদ নাঈম ড. ইউনূসের তিন শূন্যের পৃথিবী : শোষণ ও দূষণমুক্ত বিশ্বের সম্ভাবনা শনি গ্রহের নতুন ১২৮টি চাঁদ আবিষ্কার পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি ঘটনা: ৩০ ঘণ্টা পর অবসান

জাতীয়

ফোন চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর যুবকের গায়ে আগুন

 প্রকাশিত: ১৪:১৫, ১৩ মার্চ ২০২৫

ফোন চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর যুবকের গায়ে আগুন

 মোবাইলফোন চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবক ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে তার শরীরে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

প্রাণভিক্ষা চেয়েও রেহাই মেলেনি যুবকটির। মধ্যযুগীয় কায়দার এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায়।  

উপজেলার লামাতাশি ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামের এ ঘটনার একটি ভিডিও বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নির্যাতনের শিকার জাহেদ মিয়া (২৮) বাহুবলে বনদক্ষিণ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।  

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইলফোন চুরি হয়। এরপর সন্দেহভাজন হিসেবে একই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিম্মত আলীর ছেলে শহীদুল মিয়াকে (৩০) আটক করে উত্তম মধ্যম দেওয়া হয়। পরে বনদক্ষিণ গ্রামের জাহেদ মিয়াকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে গাছের সাথে বেঁধে তার শরীরে ধরে দেওয়া হয় আগুন। এ সময় চুরির দায় স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হলে জাহেদ তা অস্বীকার করেন।  

নির্যাতন বন্ধের জন্য বার বার আকুতি জানান জাহেদ। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তার পরিবারের লোকজন মোবাইলফোনের মূল্য পরিশোধের শর্তে তাকে ছাড়িয়ে নেন। পরে ভর্তি করা হয়েছে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে।  

চিকিৎসক জানিয়েছেন, জাহেদের শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজন পড়তে পারে অস্ত্রোপচারের।

হাসপাতালে ভর্তি জাহেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমারে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে মেহগণি গাছের সাথে বাইন্দ্যা (বেঁধে) মারছে। শরীরে আগুন লাগাইয়া দেওয়া হইয়াছে। পরে আমার দাদা সব টাকা দেওয়ার কথা বলে ছাড়িয়ে নিয়েছে। ’

এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি দেখেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।