গোপালগঞ্জে দিনদুপুরে বাড়িতে ঢুকে যুবককে হত্যার পর লুট

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দিনদুপুরে এক চিকিৎসকের বাড়িতে ঢুকে তার ছেলের হাত-পা বেঁধে লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িতে আর কোনো সদস্য ছিলেন না।
ডাকাতরা বাড়ি থেকে টাকা, পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ।
নিহত পিয়াস মজুমদার (২২) ওই বাড়ির পল মজুমদার খোকনের ছেলে।
চুরিতে বাধা দেওয়ায় ওই যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন ওসি আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “পিয়াসের মা চাকরি করেন। বাবা দন্ত চিকিৎসক। কে বা কারা ঘরে ঢুকে ছেলেটিকে মেরে মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
“তবে এ ঘটনায় কতজন লোক ছিল তা বলতে পারছি না। তাই এটিকে ডাকাতি বলা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে, চুরিতে ছেলেটি বাঁধা দিলে তার মুখে গামছা ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।”
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, পল মজুমদার উপজেলার লাকিরপাড়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী রাধাগঞ্জ বাজারে নিজের চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা দেন। তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নার্সের চাকরি করেন।
একমাত্র সন্তান পিয়াসকে বাড়িতে রেখে প্রতিদিনের মতো তারা সকাল ৯টার দিকে কর্মস্থলে চলে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল মজুমদার বাড়িতে ফিরে পিয়াসকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাটের উপর দেখে চিৎকার করেন।
আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে পিয়াসকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ডাকাতরা পিয়াসকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী সলমন মজুমদার।
তিনি বলেন, “পল মজুমদারের চিৎকার শুনে তার বাড়িতে গিয়ে পিয়াসকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখে হাসপাতালে পাঠাই। ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও এলোমেলো অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেই।”
ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।