‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ যাচ্ছেন সিলেটের চিকিৎসকরা

৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ যাচ্ছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে তারা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
কর্মসূচির আওতায় ‘একাডেমিক শাটডাউন’ বহাল থাকবে এবং শিক্ষার্থী-ফ্যাকাল্টি মেম্বার, একাডেমিক, প্রশাসনিক হেডসহ (প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর) বিক্ষোভে অংশ নেবেন।
আন্দোলনের বিশেষ ঘোষণায় ইন্টার্ন, মিড লেভেল চিকিৎসক (সিএ, রেজিস্ট্রার, বেসরকারি এফসিপিএস ট্রেইনি, রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট প্রমুখ) চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের সব চিকিৎসক (প্রফেসর পর্যন্ত) কর্মবিরতিতে যাবেন এবং আউটডোর চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। এছাড়াও সব চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে এসব আহ্বান জানিয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ। পরবর্তী ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি বলবৎ থাকবে বলে একটি নোটিশও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এছাড়া দলমত নির্বিশেষে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসক সমাজ একযোগে ‘ঢাকা চলো’ মহাসমাবেশে যোগ দেবেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবিগুলো হলো- ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে গত সরকার দিয়ে গেছে; উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা; স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা; বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফগণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা এবং চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।