মাগুরার সেই শিশুর সব ছবি ইন্টারনেট থেকে অপসারণের নির্দেশ

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাগুরার সেই শিশুটির সব ছবি ও নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
ওই শিশুর বিষয়টি নজরে আনার পর সোমবার (৯ মার্চ) স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন।
তিনি জানান, আদালত নিজ থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়ে বললেন যে, এ আট বছরের বাচ্চার ছবি কেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া হচ্ছে। এটা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের লঙ্ঘন। কারণ রেপ ভিকটিমের নাম ও ছবি কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন। দুপুরের মধ্যে নাম ও ছবি যেন রিমুভ করে দেওয়া হয়। দুপুরের মধ্যে নাম ও ছবি রিমুভ না করলে যারা প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবেন।
তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। আদালত এ বিষয়ে আজকেই আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে শুক্রবার রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর শনিবার শিশুর মা বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এ মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮) ও বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), সজিব শেখের এক ভাই (১৭) ও তাদের মা জাবেদা বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। তাদের চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।